সুদিন আসছে তানহার

সম্প্রতি কলকাতার টিভিতে বাংলাদেশের মডেল ও নায়িকাদের পরিচিতি বাড়ছে। আর এই ঘটনা ঘটছে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এরই ধরাবাহিকতায় এবার যুক্ত হলো নায়িকা তনহা তাসনিয়ার নাম। সম্প্রতি সুরেষ সরিষার তেলের একটি বিজ্ঞাপনে তাঁকে দেখা যাচ্ছে।
এ নিয়ে নায়িকা তানহা বলেন, ‘এখন তো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও ভারতের শিল্পী দেখতে হয়। আমাদের সময়টাই এমন। তাই আমাদেরও ওরা দেখতে পাচ্ছে চলচ্চিত্রে, বিজ্ঞাপনে। এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। আমরা তো সারাদিনই সেখানকার টিভি দেখি, তাদের সব শিল্পীকেই আমরা চিনি। এখন আমাদেরও তারা চিনতে পারবে। আমার নামের সাথে বাংলাদেশের নামটাও মানুষ বেশি করে জানবে। এটাও আমার কাছে অনেক আনন্দের।’
বিজ্ঞাপন ছাড়াও তানহার জন্য সুখবর হলো আসন্ন ঈদে আসছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘ভোলা তো যায় না তারে’। একদিকে বিজ্ঞাপন আর অন্যদিকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রথম চলচ্চিত্র, বলতে গেলে সুদিন আসছে তানহার। সিসেমার গল্পে দেখা যাবে রুদ্রের সঙ্গে নীলাঞ্জনার প্রেম। কিন্তু ধর্মে রুদ্র মুসলিম আর নীলাঞ্জনা হিন্দু। গোপনে বিয়ে করার সময় রুদ্র অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। ফিরে এসে দেখে প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে, কিন্তু তাকে সে কিছুতেই ভুলতে পারে না। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে রুদ্র। এমন গল্প নিয়েই রফিক শিকদার পরিচালনা করেছেন ‘ভোলা তো যায় না তারে’।
গত ২১ আগস্ট শুক্রবার উত্তরার দিয়াবাড়ীতে একটি গানের শুটিং করেছেন অভিনেতা নীরব ও নবাগতা তানহা। এই গানের দৃশ্যধারণের মাধ্যমেই ছবিটির শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছিল।
তানহা ছবিটি সম্পর্কে বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশের অনেক সুন্দর লোকেশনে আমরা শুটিং করেছিলাম। আমি খুব উপভোগ করেছি, আবার অনেক কষ্টও করেছি। কক্সবাজারের বালু অনেক গরম, ওপরে সূর্যের তাপ, বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের ওপর আলো ফেলা হয়েছিল। গরমে মনে হচ্ছিল সেদ্ধ হয়ে যাব। এই ছবির মাধ্যমে দর্শককে যদি এতটুকু আনন্দ দিতে পারি, সব কষ্ট সার্থক হবে। আশা করছি ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে।’
‘ভোলা তো যায় না তারে’ ছবি সম্পর্কে নীরব বলেন, ‘ছবির গল্পটি অন্য সব ছবির গল্প থেকে আলাদা। এখানে হিন্দু ও মুসলিম দুই পরিবারের গল্প নিয়ে কাহিনী এগিয়ে যাবে। এতে রুদ্র মুসলিম ঘরের ছেলে আর নীলাঞ্জনা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ছবিতে আমি রুদ্র চরিত্রে অভিনয় করেছি। নীলাঞ্জনার ভূমিকায় দেখা যাবে তানহাকে। আশা করছি, ছবিটি সবারই ভালো লাগবে।’
ধলেশ্বরী ফিল্মসের ব্যানারে এই ছবি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, জিয়া হল, ছবির হাট ও বইমেলাতে শুটিং হয়েছে। পরে কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির গানসহ বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা হয়।