তারকার প্রথম
কলেজের ম্যাডামের প্রেমে পড়েছিলাম : মাহফুজ

মাহফুজ আহমেদ জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। শুধু অভিনয় দিয়ে নয় পরিচালনা করেও পেয়েছেন প্রশংসা। আজ আমরা জানব, প্রিয় এই তারকা শিল্পীর জীবনের প্রথম উল্লেখ্যযোগ্য কিছু ঘটনা।
প্রথম স্কুল
লক্ষ্মীপুর জেলায় রামগঞ্জ থানায় জগৎপুর প্রাইমারি স্কুল।
প্রথম শিক্ষক
আমার বাবা মকবুল আহমেদ ছিলেন আমার প্রথম শিক্ষক। তিনি পেশায় শিক্ষক ছিলেন।
প্রথম পড়া বই
রোমেনা আফাজের লেখা দস্যু বনহুর বইটি আমি প্রথম পড়ি। আমার মা এই বইটা পড়তেন।
প্রথম প্রেম
আমি আমার কলেজের ম্যাডামের প্রেমে পড়েছিলাম। ম্যাডামের নাম ছিল স্বপ্না রায়। তিনি বাংলা পড়াতেন। আর্মি অফিসারের স্ত্রী ছিলেন তিনি। আমার প্রথম ক্রাশ ছিলেন এই ম্যাডাম।
প্রথম ক্যামেরার সামনে
বোঝার আগেই দৃশ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি নাটকে আজিজুল হাকিমের বন্ধুর চরিত্রে কাজ করছিলাম। শমী কায়সারকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি, ‘এই তোকে ডাকে’, এই সংলাপটি নাটকে আমি প্রথম দেই। সংলাপ দেওয়ার আগে আমি এতটাই উত্তেজিত ও নার্ভাস ছিলাম যে পরিচালক কখন অ্যাকশন বলেছেন, এটাই মনে ছিল না। আমার মুখের উচ্চারণ আমি নিজের কানে শুনিনি।
প্রথম পারিশ্রমিক
‘কোন কাননের ফুল’ নাটকে অভিনয় করে ২০০ টাকার একটা চেক পেয়েছিলাম। ১৯৮৯ সালে নাটকটি বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। নাটকটি লিখেছেন ইমদাদুল হক মিলন। নাটকটিতে অভিনয়ের সময় আমি ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করি। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থেকে পড়াশোনা , অভিনয় ও কাজ একসঙ্গে করছিলাম। সেই সময় আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তাই ২০০ টাকা তুলতে পারিনি। পরে এই টাকাটা দিয়েই একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। এরপর যত দিন আমি বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হইনি ঠিক তত দিন ধরে পারিশ্রমিক শুধু ২০০ টাকাই পেয়েছি। এরপর তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়ার পর প্রতি নাটকে ৭০০ টাকা করে আমি পেয়েছি।
প্রথম দেওয়া সাক্ষাৎকার
‘ছায়াছন্দ’ শিরোনামে একটি ম্যাগাজিন পত্রিকায় আমি প্রথম সাক্ষাৎকার দেই। আমার ছবি বড় করে ছাপানো হয়েছিল। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন সাংবাদিক রেজাউর রহমান এজাজ। পত্রিকার দাম ছিল ১০ টাকা। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে আমি পত্রিকা কিনতে পারিনি। কারণ তখন আমার কাছে টাকাই কম থাকত। তখন ১০ টাকা খরচ করা আমার জন্য বিলাসিতা ছিল। আমি প্রতিদিন পত্রিকা স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম আর পত্রিকায় নিজের ছবিটা দেখতাম।
প্রথম এফডিসিতের আসার গল্প
আমি তখন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করতাম। আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল নায়িকা চম্পার সাক্ষাৎকার নিতে হবে। আমি তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য একটা বেবিটেক্সি নিয়ে এফডিসিতে প্রথম যাই। কিন্তু শেষপযর্ন্ত সেদিন সাক্ষাৎকারটি নিতে পারিনি, কারণ আমার সাহস তখন অনেক কম ছিল। সেদিন শুধু ছবির নায়ক-নায়িকাদের দেখে বাসায় ফিরি। আর শুটিং করতে এফডিসিতে যেতে আমার সব সময় ভালো লাগত। আমার মনে হয়, এই একটা জায়গা যেখানে শুধু অভিনয়শিল্পীদের বিচরণ অথবা যাঁরা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সংশিষ্ট তাঁরাই এখানে প্রবেশ করতে পারবেন। ‘প্রেমের কসম’ছবির শুটিং করার জন্য এফডিসিতে আমি প্রথম যাই। আমার স্পষ্ট মনে আছে শুটিংয়ের আগের রাতে আমার ঘুম হয়নি। এটা ১৯৮৪ সালের কথা।