এনটিভিতে কাল ‘অ্যানালগ ভালোবাসা’

ডিজিটাল এই যুগে অ্যানালগ ভালোবাসা? ভালোবাসা অবশ্য ডিজিটাল হবেই বা কী করে, মানবিক বিষয় যেহেতু ডিজিটাল হওয়ার কোনো সুযোর এর নেই। কথা বলছি ‘অন্যালনগ ভালোবাসা’ নাটক নিয়ে। কী আছে এই নাটকে? চলুন সংক্ষেপে জেনে নেই।
মফস্বলের একটি তিনতলা বাড়ি ‘স্রোতস্বীনি’। বাড়িটি জারিফের বাবা তৈরি করে গেছে। জারিফের বাবা-মা আজ বেঁচে নেই। বর্তমানে জারিফ সপরিবারে বাড়িটির তিনতলায় থাকে। প্রায় এক যুগ আগে পারিবারিক সিদ্ধান্তে জারিফ বিয়ে করে ঐশীকে। তাদের একমাত্র ছেলে তূর্য ক্লাস টুতে পড়ে। মূলত বাড়ি ভাড়ার টাকাতেই চলে জারিফের ছোট্ট সংসার। ব্যবসা বা কাজের প্রতি আগ্রহ জারিফের কোনো কালেই ছিল না। অন্য কোনোভাবে অর্থ উপার্জন করে পরিবারের স্বচ্ছলতা কিছুটা বাড়াবে- সে চেষ্টাও নেই। তার যাবতীয় সামাজিকতার ব্যপারটি, ভার্চুয়াল জগতেই সীমাবদ্ধ। ছেলেটিও হয়েছে বাপের ধাঁচের। সারাক্ষণ কম্পিউটারে গেমস নিয়ে মেতে থাকে। ঐশী স্বামী-ছেলেকে নিয়ে হতাশ। একসময় সে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোটবোন মৃদুলার সাহায্য চায়। মৃদুলা বোনকে সাহায্যের জন্য ব্যাগ-সুটকেস নিয়ে দুলাভাইয়ের বাসায় হাজির হয়। এরপর দুইবোন মিলে একের পর এক আইডিয়া বের করতে থাকে। কিন্তু প্রতিটি আইডিয়াকে ব্যর্থ প্রমাণ করে জারিফ ও তূর্য তাদের কাজ চালিয়ে যায়। একসময় আরো হতাশ হয়ে পরে ঐশী। ঘটে যায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যে ঘটনাটি, পুরোপুরি পাল্টে দেয় জারিফ ও তুর্যকে।
কী ঘটেছিল! জানতে হলে দেখতে হবে খণ্ড নাটক- ‘অ্যানালগ ভালোবাসা’। আসিফ মেহ্দীর রচনা, মুহম্মদ আবু রাজীনের চিত্রনাট্য ও এম প্রডাকশনের প্রযোজনায়, নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাহামুদুল হাসান টিপু। চিত্রগ্রহণ করেছেন দানিয়েল ড্যানি। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মোশাররফ করিম, রোবেনা রেজা জুঁই, তারিক স্বপন, শহিদুল্লাহ সবুজ, হেভেন খান, আসমা সাবিহা রিংকু, তন্ময় সাহা, তানভীর লিমন, এ্যানিসহ আরো অনেকে। নাটকটি আগামীকাল ২৩ আগস্ট এনটিভিতে প্রচার হবে রাত নয়টা পাঁচ মিনিটে।