দর্শক রোমান্টিক নাটক পছন্দ করে : কৌশিক শংকর দাশ

আসছে ঈদ উপলক্ষে বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন পরিচালক কৌশিক শংকর দাশ। আগামীকাল তিনি শুরু করবেন ঈদের নতুন একটি নাটকের শুটিং। অভিনয় করবেন তিশা ও নিলয়। ঈদের নাটকের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন : ব্যতিক্রমধর্মী রোমান্টিক নাটকের কাজ করে দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ছোটপর্দায় উপহার দিয়েছেন অনেক রোমান্টিক জুটি। এ প্রসঙ্গে কিছু বলুন।
উত্তর : কথাটা ঠিক। অনেক রোমান্টিক জুটি আমার নাটকে প্রথম জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। সুমাইয়া শিমু-অপূর্ব, মাহফুজ আহমেদ-মৌ, তারিন-নোবেল আমার নাটকে প্রথম জুটি হয়েছেন। সুমাইয়া শিমু-অপূর্ব অভিনীত নাটকটি ২০০৭ সালে এনটিভির বর্ষপূর্তিতে প্রচার হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁরা জুটি বেঁধে অনেক নাটকে কাজ করতে শুরু করেন। সজল-তিশা একসঙ্গে অনেক নাটক করলেও আমার নাটকে প্রথম তাঁরা রোমান্টিক জুটি হিসেবে কাজ করেন। নাটকটির নাম ছিল ‘মেটার অব লাভ’। পর্দায় রসায়নের ক্রেডিট কিন্তু শিল্পীদের, আমার নয়। আমার শুধু ভালো লাগে তাঁরা প্রত্যেকেই জুটি হিসেবে এখন সফল। আমি এটা চিন্তা করেছি কারণ এখন অনেক চ্যানেল, প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। দর্শককে নতুনভাবে কীভাবে আকর্ষণ করা যায় তাই ভেবেছিলাম। এই ভাবনা থেকে নতুন নতুন জুটি নিয়ে নাটক বানাতাম। এখনো তো করছি।
প্রশ্ন : আপনি থ্রিলার-অ্যাকশন নাটক নির্মাণ করেছেন আবার রোমান্টিক নাটকও বানিয়েছেন। তবে রোমান্টিকের সংখ্যাটাই বেশি। এর প্রধান কারণ কি?
উত্তর : কারণ দর্শকরা রোমান্টিক নাটক দেখতে পছন্দ করেন। আমিও করি। কিন্তু বেশি পছন্দ করি থ্রিলার-সুপার ন্যাচারাল নাটক। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি রোমান্টিক নাটক বানালেও দ্বিতীয় নাটকটি ছিল আমার থ্রিলার ধরনের। নাটকের নাম ছিল ‘অসময়ের এক রাত’। নাটকটিতে কাজ করেছিলেন সজল ও সোহানা সাবা। তাঁরা এই নাটকে প্রথম জুটি হয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করি রোমান্টিক-থ্রিলার সব ধরনের কাজের ব্যালেন্স ধরে রাখতে কিন্তু সেটা কখনো সম্ভব হয় না। কারণ দর্শকের প্রধান চাহিদা রোমান্টিক নাটক।
প্রশ্ন : নাটকে নতুন মুখ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। কোনো বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন কি?
উত্তর : মিডিয়ায় আসলে নতুন মুখ দরকার। চলতি বছরে যখন আমি শার্লিনকে নিয়ে নাটকের কাজ শুরু করি, তখন চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে আমি বলে নিই এই মেয়েটা নতুন। কিন্তু তাঁর অভিনয় দেখে চ্যানেলগুলো নাটক পছন্দ করেছে। আমি নিয়মিত থিয়েটার দেখি। সেখান থেকে নতুন শিল্পী বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। যেহেতু তাঁরা নতুন শিল্পী। তাই নাটকের প্রযোজক ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষরা ভাবে, তাঁরা অভিনয় কতটুকু জানেন? এটা ভাবারই কথা। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জটা পরিচালকদের নিতে হবে।
প্রশ্ন : টিভিতে দর্শকরা এখন কি নাটক দেখছে? অভিযোগ উঠেছে নাটকের ফাঁকে বিজ্ঞাপন বেশি। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি?
উত্তর : এখন যুগ বদল হয়েছে। নাটকের ফাঁকে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে কিন্তু অনেক বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। কিন্তু তাদের সিস্টেমগুলো গঠনমূলক। তাঁরা ৮টার নাটক ৮টায় প্রচার করে। কিন্তু আমরা ৮টার নাটক ৮টা ১৫ মিনিটে শুরু করি। সঠিক সময় অনুযায়ী নাটক চ্যানেলে প্রচার হয় না। আগে চ্যানেল কম ছিল। আমরা নাটক বানালে অনেক সাড়া পেতাম। কিন্তু কথাটা সত্য, এখন আর আগের মতো নাটকের সাড়া পাওয়া যায় না।