পর্দায় তাঁর চরিত্রগুলো সব সময়ই সপ্রতিভ। মনে যেমন আসে তেমনটাই তিনি বলেন এবং করেন, শ্রদ্ধা কাপুরকে এভাবেই চেনে দর্শক। কিন্তু এনডিটিভির খবরে পাওয়া গেল আরেক মানুষকে। পর্দার শ্রদ্ধা যতটাই বাঁধভাঙা মানুষ, ব্যক্তিজীবনে ততটাই চুপচাপ।

‘তিন পাত্তি’ নামের একটি থ্রিলার ঘরানার ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল তাঁর। সে ছবিতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং মাধবনের মতো তারকারা। কিন্তু ছবিটি ব্যবসা সফল হয়নি, আলোচনায় আসেননি শ্রদ্ধাও। বছর দুয়েক পর শ্রদ্ধার ক্যারিয়ার দুর্দান্তভাবে তুঙ্গে চলে আসে ‘আশিকি ২’ ছবি দিয়ে। ৯০ দশকের জনপ্রিয় প্রথম ছবিটিতে ছিলেন রাহুল রায় এবং অনু আগরওয়াল। শ্রদ্ধার বিপরীতে ছিলেন আদিত্য রায় কাপুর। ‘আশিকি’র জনপ্রিয়তা তারা আরো বাড়িয়ে তুলতে পেরেছেন, এ কথা বলাই যায়। শ্রদ্ধার জনপ্রিয়তা সেই থেকে শুরু।

এখন অনেক মানুষ শ্রদ্ধা বলতে পাগল। ভক্তদের সাথে সাথে কাজের চাহিদা আর প্রযোজক-পরিচালকদের চিন্তাভাবনাও বেড়েছে শ্রদ্ধাকে নিয়ে। তবে তাতে আপন জগতের শান্ত এবং নিভৃতচারী শ্রদ্ধার একটুও বদল আসেনি।

‘আমি ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণ লাজুক। আমি তেমন একটা সামাজিকও নই। কেবল আমার পরিবার আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবের সামনেই আমি সহজ। দিনে দিনে আমার চরিত্রগুলো অনেক এক্সপ্রেসিভ হয়েছে, কিন্তু আমি এখনো সেই আগের মেয়েটিই রয়ে গেছি। মাঝে মাঝে ভেবেছি যে নিজেকে হয়তো বদলানো দরকার। যেকোনো জায়গায় গেলে আমি ঠিক বুঝি না কী বলে উঠব। আমি নার্ভাস মানুষ, আমার নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্য বা কিছু বলবার জন্য খানিকটা সময় দরকার পড়ে’-নিজেকে নিয়ে এ টুকু কথা অবশ্য বেশ অকপটেই বলেছেন শ্রদ্ধা।

শ্রদ্ধা নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানান, কারণ মিডিয়ার বিখ্যাত মানুষরা তাঁকে কাজের মাধ্যমে চিনেছেন। এটাই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি।

শ্রদ্ধাকে কিছুদিন পরই দেখা যাবে নাচনির্ভর ছবি ‘এবিসিডি ২’-এ। এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন বরুণ ধাওয়ান।