‘বেগমজান’ বলবে যৌনকর্মীদের লড়াইয়ের কথা

‘আমাদের এখান থেকে কেউ উঠাতে গেলে আমি তার হাত-পা ও জিসমের মধ্যে ও কেয়া কেহেতে হ্যায়, পার্টিশন করে দেব।’ রাজকাহিনীর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের এই সংলাপ আশা করি ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ’৪৭-এর দেশভাগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন সৃজিত মুখার্জি। তবে রাজকাহিনীর গল্প থেকে বেগমজানের গল্প অনেকটাই ভিন্ন। হিন্দুস্তান টাইমসকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা সৃজিত জানান, বলিউডে তাঁর এই প্রথম ছবি যৌনকর্মীদের নতুনভাবে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসবে।
সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত ‘রাজকাহিনী’ ছবিটির হিন্দি সংস্করণে বিদ্যা বালানকে দেখা যাবে বেগমজান চরিত্রে, যিনি একটি গণিকালয়ের মালিক এবং দেশভাগের পটভূমিতে যিনি তার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে ব্যস্ত। ‘এটি তাদের (যৌনকর্মীদের) বাঁচার লড়াইয়ের গল্প। তারাও মানুষ, তাদেরও নিজস্ব নিয়মকানুন রয়েছে, তাদেরও পরিবার রয়েছে, তাদেরও সম্পর্ক রয়েছে… এটি খুবই অন্যায় যে তাদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা এবং সমাজের কোনার দিকে ঠেলে দেওয়া,’ বলেন সৃজিত। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে এপ্রিলের মাঝামাঝি।
বেগমজান ছবির জন্য কলকাতার সোনাগাছি রেড লাইট এলাকায় গিয়েছেন এবং চরিত্রের প্রয়োজনে সেখানকার যৌনকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন এমন গুজব অস্বীকার করে সৃজিত বলেন, “এটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০১১ সালে আমি ‘বাইশে শ্রাবণ’ নামের একটি ছবি বানিয়েছিলাম এবং ছবির একটি অংশ আমি সেখানে শুট করি। তখন আমি সেখানে তাদের সঙ্গে কথা বলি। এই গুজবটা হয়তো সেখান থেকেই ছড়িয়েছে। যখন আমি বেগমজান নির্মাণ করি, তখন আমি সেখানকার অভিজ্ঞতা এখানে বর্ণনা করেছি।”
বর্তমানে সৃজিতের হাতে পাঁচটি হিন্দি ছবি ও দুটি বাংলা ছবি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাঁচটি ছবির মধ্যে দুটি ছবিই আমার বাংলা ছবি হেমলক সোসাইটি এবং চতুষ্কোণের হিন্দি সংস্করণ। আমি অপেক্ষায় আছি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শিডিউলের অপেক্ষায়।’