শেরপুরে কলাচাষে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলছে

কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় শেরপুর জেলায় দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলাচাষ। চলতি বছর ৬৬০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ইতোমধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৩ হেক্টরে। জেলার কলার স্বাদ ও গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ২০টি জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।
শেরপুর সদরের যোগনীবাগ গ্রামের প্রায় ৫০০ কৃষক কলাচাষে নিয়োজিত। বিঘাপ্রতি ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ করে আয় করছেন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। লাভ থাকছে ৫০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রীবরদির চৌকিদারবাড়ি হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকার কলা বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক মুনসর আলী জানান, তার ১২০০ গাছে এবার ৬ লাখ টাকার কলা বিক্রির সম্ভাবনা আছে।
আরেক চাষি আব্বাস মিয়া জানান, কম পরিশ্রমে এক জমিতে বারবার ফলন পাওয়া যায় বলে ধান বাদ দিয়ে কলার দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে কলা চাষে প্রায় ১ লাখ টাকার মতো গড়ে লাভ হয়। তাই দিন দিন কলা চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকেও উচ্চফলনশীল জাত এবং আধুনিক কলাচাষে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সহায়তা।