ঝিনাইদহে বিদেশি ফলের বিপ্লব

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও সদর উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে বিদেশি ফল- রাম্বুটান, অ্যাভোকাডো ও আঙুর। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর এসব ফল বিক্রি হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বড় শহরগুলোতে।
কালীগঞ্জের কৃষক শাহিনুর রহমান ২০১৯ সালে থাইল্যান্ড থেকে আনা অ্যাভোকাডোর চারা রোপণের ৫ বছর পর এবার পেয়েছেন প্রচুর ফলন। তিনি জানান, ঢাকায় এসব ফল কেজি প্রতি ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
স্কুলশিক্ষক হাফিজুর রহমান লংগান চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি বলেন, লংগান চাষে বেশি খরচ হয় না, রাসায়নিকও কম লাগে।
সদর উপজেলার বেতাই গ্রামের চাষি আরিফুল ইসলাম ও মহেশপুরের আব্দুর রশিদ পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ করে পেয়েছেন ভালো ফলন ও বাজার মূল্য। আব্দুর রশিদের বাগানে ১২ জাতের রঙিন আঙুর চাষ হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় বর্তমানে ২ হেক্টর জমিতে অ্যাভোকাডো, ১ হেক্টরে রাম্বুটান এবং ২.২৫ হেক্টরে আঙুর চাষ হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলার মাটির একটি বিশেষ গুণ আছে। এই মাটিতে নানান রকম বিদেশি ফলের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকেরা চাষাবাদ শুরু করলেও সফলতা আসার পরে তা বাণিজ্যিক আবাদে রূপান্তরিত হচ্ছে। এটা আমাদের কৃষিতে এক দারুণ বিপ্লব বলা যায়।