আজ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস

আজ ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে।
দিবসটি পালনে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নির্যাতন একটি অপরাধ। কোনো পরিস্থিতিতেই নির্যাতনকে মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমান বিশ্বে নানা কারণে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। বাণী দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃত্ব।
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেছেন, এই দিবস পালনে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই দিনটি হোক, শাসনের নৈতিক ভিত্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট বাংলাদেশসহ সব দেশের জন্য এক মোড় পরিবর্তনের সূচনা।
আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসের ইতিহাস
জাতিসংঘ প্রতি বছর নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ এবং বিশ্বব্যাপী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে ২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসটি পালন করে থাকে।
১৯৮৭ সালের ২৬ জুন জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এই দিনটির তাৎপর্যকে স্মরণ করে জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে এক সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে ২৬ জুনকে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো-নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সম্মান ও সহানুভূতি জানানো। নির্যাতন প্রতিরোধে বৈশ্বিক সচেতনতা তৈরি করা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী নির্যাতনকে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে তুলে ধরা। বিশ্বজুড়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা।
প্রতিবছর এই দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি, সেমিনার, মানববন্ধন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে একটি নির্যাতনমুক্ত পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানানো হয়।