তুচ্ছ ঘটনায় শিশুর গায়ে গরম দুধ ঢেলে ঝলসে দিল প্রতিবেশী

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী এক নারীর ঢেলে দেওয়া গরম দুধে ঝলসে গেছে সিয়াম (৯) নামে এক শিশুর শরীর। শিশু সিয়াম এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
দগ্ধ সিয়াম উপজেলার ছয়সুতি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মানিক মিয়ার ছেলে।
ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও দরিদ্র পরিবারটি পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাদের থানা-পুলিশ না করতে একটি প্রভাবশালী মহল চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারটির।
শিশু সিয়ামের পরিবার জানায়, গত শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী প্রবাসী সুলাইমান মিয়ার সীমানায় বালি নিয়ে খেলছিল শিশু সিয়াম। বালি নেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে ঝগড়া হয় সুলাইমানের স্ত্রী শিল্পী বেগমের। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় শিশু সিয়াম সুলাইমানের বাড়ির সীমানায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় শিল্পী বেগম শিশু সিয়ামের শরীরে গরম দুধ ঢেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। সে সময় শিশু সিয়ামের চিৎকারে তার বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তবে অভিযুক্ত শিল্পী বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঝগড়ার সময় তিনি মাটির উনুনে ভাত রান্না করছিলেন। এ সময় অসাবধানবশত ভাতের হাড়ি সিয়ামের উপর পড়ে যাওয়ায় গরম মাড় ওর শরীরে পড়ে।
কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নিয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু সিয়াম আপাতত আশঙ্কামুক্ত। তবে বার্ন পরবর্তী সমস্যাজনিত কারণে তাকে ঢাকায় নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুলিয়ারচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। শিশুটির বাবা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’