বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে প্রতিবেদন প্রচারের পর ঝালকাঠিতে ভিয়েতনামের খাটো জাতের ‘সিয়াম ব্লু’ নারিকেল গাছের খামার পরিদর্শন করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শনিবার সকাল ১০টায় যুগ্ম সচিব ফরিদা জাহানের নেতৃত্বে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশাইন খান গ্রামে মো. মাহাফুজুর রহমানের মিশ্র খামার পরিদর্শনে  যান।

এ সময় খামারটি ঘুরে দেখেন তাঁরা। নারিকেল গাছের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে মাল্টা, লাউ, করলা, ধুন্দল, শষা ও কান্দিতে মাছের চাষ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা।

মাহাফুজুর রহমান তিন একর জমিতে গড়ে তুলেছেন এই মিশ্র খামারটি। ছয় মাস আগে ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ভিয়েতনামের খাটো জাতের সিয়াম ব্লু ১৮০টি নারিকেল গাছের চারা কিনে রোপণ করেন তিনি। বন্যা ও ঝড়ো হাওয়ায় এই নারিকেল গাছের কোনো ক্ষতি হবে না। চারা রোপণের তিন বছরের মধ্যে ছোট অবস্থাতেই গাছে নারিকেল পাওয়া যাবে। বেশাইন খান গ্রামের এই মিশ্র খামারটি নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর এনটিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। প্রচারিত প্রতিবেদন দেখে খামারটির খোঁজখবর নিতে আসেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফরিদা জাহান, কৃষি অধিদপ্তরের বরিশালের বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ, ঝালকাঠি কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ মো. আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস শুক্কুর মোল্লা।

এই খামার বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় খামার। কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশে খামারটি পরিদর্শন করার কথা জানিয়েছেন যুগ্ম সচিব ফরিদা জাহান। এদিকে এনটিভিতে প্রতিবেদন প্রচারের পর থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য বেকার যুবক খামারটি দেখতে বেশাইন খান গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন। তারা খামারের মালিক মাহাফুজুর রহমানের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এই ধরনের মিশ্র খামার করার পরিকল্পনা করছেন।