ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড (কুট্টাপাড়া মোড়) হয়ে বিজয়নগরের রামপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে এই যানজট গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে শুরু হয়ে আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, চালক ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কে চলমান ফোরলেন নির্মাণকাজের কারণে সড়ক সরু হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড় এলাকায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এই দুই মোড়ের অপর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) জানায়, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ ছয় বছর ধরে চলছে। এক পাশের কাজ শেষ হলেও সম্পূর্ণভাবে সড়কটি চালু হয়নি। ফলে সরু একটি লেন দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল করতে হচ্ছে, যা যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও বিশ্বরোড মোড়ে তিন ফুট গভীর অসংখ্য গর্তের কারণে পণ্যবাহী গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। এসব গর্তে গাড়ি আটকে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ছে, ফলে যানজট আরও দীর্ঘ হচ্ছে। এসব স্থানে যান চলাচলের গতি ঘণ্টায় ২ থেকে ৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে।
এছাড়া আশুগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী লেনে ভৈরব সেতু পর্যন্তও যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। সেতুর ওপর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অসংখ্য বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার। অনেক যাত্রী রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যানবাহনের ভেতর আটকে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান জানান, আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড়ের চারপাশে তিন ফুটের বেশি গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে গাড়ির গতি ৭০ কিলোমিটার থেকে কমে ৫ কিলোমিটারে নামতে বাধ্য হচ্ছে। একটি ট্রাক একটি মোড় পার হতে প্রায় ২০ মিনিট সময় নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।