‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক অধিকারকর্মীদের ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল

গাজাগামী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী নৌবহর থেকে আটক করা অধিকারকর্মীদের ইউরোপে ফেরত পাঠাবে ইসরায়েল। আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
ইসরায়েলি নৌবাহিনী বুধবার রাত থেকে ভূমধ্যসাগরে একের পর এক নৌযান থামিয়ে দিয়ে এই অভিযান চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, জাহাজগুলো থেকে সুমুদ ফ্লোটিলার যাত্রীদের নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আটক গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য অধিকারকর্মীদের ছবিও প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকাশেক জানিয়েছেন, যেসব নৌযান এখনো আটক হয়নি, সেগুলো গাজার দিকে এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে চায়।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযানে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।

এই নৌবহরের প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এতে যুক্ত হয়। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। শুরু থেকেই ইসরায়েল এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে আসছে, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিগত প্রায় দুই বছরে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্য সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।