‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ বহরে ইসরায়েলের বাধার প্রতিবাদে উত্তাল আর্জেন্টিনা

গাজাগামী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ত্রাণবাহী নৌযানগুলোকে ইসরায়েলের বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল আর্জেন্টিনা। স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতে দেশটির রাজধানী বুয়েনস আইরেসের রাস্তায় জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহরে বুয়েনস আইরেসের নির্বাচিত এক সিটি কাউন্সিলরও ছিলেন, যাকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছে। খবর আলজাজিরার।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) সংবাদ সংস্থার বরাতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রাণ বহরের ‘আদারা’ নামের জাহাজটিতে ছিলেন ওয়ার্কার্স সোশ্যালিস্ট মুভমেন্টের নির্বাচিত সিটি কাউন্সিলর সেলেস্তে ফিয়েরো। ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজটি থামিয়ে তাকে আটক করে।
বিক্ষোভ চলাকালীন সার্জিও গার্সিয়া এপিকে বলেন, যেসব সহকর্মী সেখানে রয়েছেন, তারা কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন, কিন্তু আমরা তাদের ওপর নজর রাখছি। তিনি আরও বলেন, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যাতে ফিয়েরো দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাতে পারি।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযানে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।

এই নৌবহরের প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এতে যুক্ত হয়। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। শুরু থেকেই ইসরায়েল এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে আসছে, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিগত প্রায় দুই বছরে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্য সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।