জেনারেলদের উদ্দেশে যেসব বার্তা দিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভার্জিনিয়ায় শতাধিক জেনারেলের উদ্দেশে দীর্ঘ বক্তব্য দিয়েছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার এ বক্তৃতায় তিনি নিজস্ব রাজনৈতিক অভিযোগ, পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য দাবি এবং নৌবাহিনীর জাহাজের চেহারা উন্নয়নের মতো বিচিত্র বিষয় তুলে ধরেছেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল—মার্কিন সেনাবাহিনীর ভূমিকা ঘরোয়া মিশনে জোর দেওয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের প্রধান পাঁচটি দিক
‘ভেতরের শত্রু’ মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
ট্রাম্প বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অননুমোদিত অভিবাসন রুখতে সেনাদের ব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, লস অ্যাঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন ডিসি, মেমফিস ও পোর্টল্যান্ডে ইতোমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আরও শহরে পাঠানো হতে পারে।
তবে সংবিধান ও ‘পসি কমিটাটাস আইন’ সেনাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা সীমিত করে দেয়।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিরসনসহ কয়েকটি বৈশ্বিক সংকট সমাধানের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, এজন্য তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। তিনি অভিযোগ করেন, প্রকৃত অর্জনকারীদের পরিবর্তে পুরস্কার দেওয়া হয় “কোনো কিছু না করা ব্যক্তিদের”।
গাজা যুদ্ধের অবসান পরিকল্পনা
ট্রাম্প দাবি করেন, তার প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনা মেনে নিয়েছে ইসরায়েল ও আরব-ইসলামিক দেশগুলো, এখন শুধু হামাসের সম্মতি প্রয়োজন। তিনি হামাসকে তিন-চার দিনের সময়সীমা দিয়েছেন, নইলে “দুঃখজনক পরিণতি”র হুঁশিয়ারি দেন।

পুতিনকে নিয়ে হতাশা
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া হাজার হাজার সেনা হারাচ্ছে এবং যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে না পারায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি “পেপার টাইগার” আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আলাস্কায় সরাসরি বৈঠকে তিনি পুতিনকে যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাইডেনকে আক্রমণ
পুরো বক্তৃতায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিয়ে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিশৃঙ্খলাকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের অনুঘটক বলে দাবি করেন। বাইডেনের বয়স ও পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ব্যঙ্গ করে ট্রাম্প বলেন, “আমার আমলে আমেরিকা সম্মানিত ছিল, বাইডেনের সময়ে প্রতিদিন তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে যেতেন।”