ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

ফিলিপাইনের মধ্য উপকূলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় ছুটে এসেছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খবর আলজাজিরার।
ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অফ ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তের শহর বোগোর কাছে সমুদ্রে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে ক্ষয়ক্ষতি ও আফটারশক উভয়ই হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র নিশ্চিত করেছে, ভূমিকম্পের পরে কোনো সুনামির হুমকি নেই।
ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর না পেলেও সেবুর গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো বলেন, আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করছি। কিন্তু এটা আমাদের ধারণার চেয়েও খারাপ হতে পারে। তিনি সাহায্যের জন্য প্রেসিডেন্টের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
সেবু প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, বান্তায়ানে একটি বাণিজ্যিক ভবন ও একটি স্কুল ধসে পড়েছে। বেশ কিছু গ্রামের রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাদেশিক উদ্ধার কর্মকর্তা উইলসন রামোস এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে। কতজন নিখোঁজ আছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
প্রথম ভূমিকম্পের পর মার্কিন ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা ৫ বা তার বেশি মাত্রার চারটি আফটারশক রেকর্ড করেছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত রিসোর্ট শহর বান্তায়ানের বাসিন্দা মার্থাম প্যাসিলান বলেন, ভূমিকম্পের সময় তিনি একটি গির্জার কাছে শহরের চত্বরে ছিলেন। তিনি গির্জার দিক থেকে একটি বিকট শব্দ শোনেন ও দেখেন কাঠামো থেকে পাথর পড়ছে। তিনি বলেন, আমি একই সঙ্গে হতবাক ও আতঙ্কিত ছিলাম, কিন্তু আমার শরীর নড়াচড়া করতে পারছিল না। আমি কেবল কম্পন থামার অপেক্ষায় ছিলাম।
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে প্রায় প্রতিদিনই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ৭ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছিলেন।