যুক্তরাষ্ট্রে ৪২ বছর পর হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ১৯৮২ সালে এক নারীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই রায়ের ৪২ বছর পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
কায়েল বেটস নামের ওই ব্যক্তিকে ১৯৮৩ সালে ২৪ বছর বয়সী জ্যানেট রেনি হোয়াইটকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। জ্যানেট রেনি হোয়াইট ফ্লোরিডার লিন হ্যাভেনের একটি বীমা কোম্পানিতে কাজ করতেন। বেটস তাকে অফিসের কাছে থেকে অপহরণ করে। এরপর একটি জঙ্গলে নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লোরিডা স্টেট কারাগারে সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে বেটসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মোট ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে মোট ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। এ বছর কার্যকর হওয়া মৃত্যুদণ্ডগুলোর মধ্যে ২৪টি প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে, দুটি ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে এবং তিনটি নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া পদ্ধতিটিকে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

এ বছর ফ্লোরিডায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ২৩টিতে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন ও পেনসিলভেনিয়াসহ তিনটি অঙ্গরাজ্যের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মৃত্যুদণ্ডের একজন প্রবল সমর্থক। তিনি তার প্রথম কার্যদিবসেই ‘সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের’ জন্য মৃত্যুদণ্ড বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।