হঠাৎ গুলির শব্দ, সবাই দৌড়াচ্ছিল

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত একটি উচ্চ নিরাপত্তার অফিস ভবনে দায়িত্বরত অবস্থায় বন্দুকধারীর গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এনওয়াইপিডি পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনার সময় যারা ভবনের ভেতরে ছিলেন, তারা এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। হঠাৎ গুলির শব্দে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই। আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু করেন অনেকে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় হামলার সময় ওই ভবনের সময় দ্বিতীয় তলায় সহকর্মীদের সঙ্গে একটি উপস্থাপনা দেখছিলেন জেসিকা চেন। তিনি এবিসি নিউজকে এই প্রত্যক্ষদর্শী ভয়ভহ ঘটনার বর্ণনা দেন।
জেসিকা চেন বলেন, আমরা প্রথম তলা থেকে পরপর বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনি। এসময় আমাদের অনেকেই দৌড়ে রুমের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
চেন আরও বলেন, কেউ কেউ পেছনের দরজা দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া আমরা অনেকে কনফারেন্স রুমে ঢুকে পড়ি। এরপর টেবিল দিয়ে ওই রুমের দরজা বন্ধ করে দেই।
চরম আতঙ্কের মুহূর্তের কথা উল্লেখ করে চেন বলেন, সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি আমার মা-বাবাকে টেক্সট মেসেজ করে বলছিলাম, আমি তাদেরকে অনেক ভালোবাসি।

পরিচিত একটি উচ্চ নিরাপত্তার ভবন। এতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এনওয়াইপিডি পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম রতনসহ চারজন নিহত হয়েছেন। পরে হামলাকারী নিজেই আত্মহত্যা করেন। নিহত পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলামের বাড়ি মৌলভীবাজারে।