প্রবাসীদের জন্য স্বস্তির খবর দিল আরব আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাসকারী প্রবাসীদের জন্য এক দারুণ স্বস্তির খবর। আপাতত রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচে কোনো ধরনের অতিরিক্ত চার্জ বৃদ্ধি হচ্ছে না বলে দেশটির মুদ্রা বিনিময় ও ব্যাংকিং খাতের শীর্ষ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সর্বশেষ গত বছরের মে মাসে দেশটিতে ১৫ শতাংশ রেমিট্যান্স চার্জ বৃদ্ধি কার্যকর হয়েছিল।
আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রেমিট্যান্স ব্যবসায়ি জয়ালুক্কাস গ্রুপের চেয়ারম্যান জয় আলুক্কাস জানান, ২০২৪ সালের শুরুর দিকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক (শুধুমাত্র কারেন্সি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর জন্য) ১৫ শতাংশ ফি বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছিল। রেমিট্যান্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের গ্রাহকদের একই বার্তা দিচ্ছে। ইউএইতে অনেক প্রবাসীই উদ্বিগ্ন ছিলেন, রেমিট্যান্স চার্জ আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ডলারের মূল্য কমতে থাকার পর। ভারতীয় ও ফিলিপিনো প্রবাসীরা চিন্তিত ছিলেন, তাদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ রেমিট্যান্স ফি তাদের জন্য আরও বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াত।
সম্প্রতি কিছু শীর্ষ ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তরে উচ্চ ফি নেওয়া হবে। তবে দ্রুতই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়, এই বর্ধিত ফি ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মিশর, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাজ্যের মতো নির্দিষ্ট কিছু দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এই ফি কেবল অন্যান্য দেশে আন্তর্জাতিক স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এই নিশ্চিতকরণ ইউএইর বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর জন্য একটি বড় স্বস্তির কারণ হয়েছে।
ইউএইর কারেন্সি হাউসগুলোতে বাংলাদেশি টাকায় রেমিট্যান্স পাঠানোর গড় ফি ১৭ দিরহাম। ভারতীয় রুপির ক্ষেত্রে ১ হাজার দিরহাম পর্যন্ত স্থানান্তরের জন্য ১৮ দিরহাম এবং এর বেশি হলে ২৫ দিরহাম। ফিলিপিনো পেসোর জন্য ২০ দিরহাম এবং শ্রীলঙ্কান রুপির ক্ষেত্রে ১ হাজার দিরহাম পর্যন্ত ১৭ দিরহাম এবং এর বেশি হলে ২৩ দিরহাম ফি প্রযোজ্য।

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স ফি বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা মনে করেন, বর্তমান রেমিট্যান্স বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা রয়েছে। এই মুহূর্তে চার্জ বাড়ানো হলে তা গ্রাহকদের আস্থা হারানোর ঝুঁকিতে ফেলবে। এই খবর প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় স্বস্তি নিয়ে এসেছে, যারা তাদের উপার্জনের একটি বড় অংশ দেশে পাঠিয়ে থাকেন।