ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নজরদারি বন্ধের সিদ্ধান্ত ‘ভয়াবহ সংকেত’ : জার্মানি

জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে একটি ‘ভয়াবহ সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করেছে জার্মানি। আজ বুধবার (২ জুলাই) জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্টিন জিজ সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। খবর এএফপির।
মার্টিন জিজ জোর দিয়ে বলেন, ‘একটি কূটনৈতিক সমাধানের জন্য ইরানের আইএইর সঙ্গে কাজ করা অপরিহার্য। ইরানের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আইএইএ দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নজরদারি করে আসছে। জার্মানির মতে, ইরানের এই পদক্ষেপ পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। ১২ দিনের এই সংঘাতের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রও হামলায় যোগ দেয়। তারা ইরানের মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় এলাকার বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে গেছে। তবে আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসিসহ পেন্টাগনের নিজস্ব মূল্যায়নেই ট্রাম্পের এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ইরান বলছে, বোমা হামলার মাধ্যমে (শান্তিপূর্ণ ইউরেনিয়াম) সমৃদ্ধকরণের প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানকে মুছে ফেলা যায় না।

এই হামলার পর ইরানের পার্লামেন্ট আইএইর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার একটি বিল পাস করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এই স্থগিতাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আইএইর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত হলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক নজরদারি কমে আসবে।