ভারতে ২৪২ আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা

ভারতের আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।
লন্ডনগামী ওই উড়োজাহাজটি মেঘানী এলাকায় ভেঙে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। ঘটনার পরপরই জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উড়োজাহাজটিতে প্রায় ৩০০ যাত্রী পরিবহণের সক্ষমতা থাকলেও দুর্ঘটনার সময় এতে ২৪২ জন ছিল। এদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, দুজন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। যেহেতু এটি একটি দীর্ঘপথের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল, তাই উড়োজাহাজটিতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি ছিল, যা বিস্ফোরণ ও আগুনকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে বহু দমকলের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য। তবে এই দুর্ঘটনায় কতজন নিহত বা আহত হয়েছেন, তা এখনও সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তর (ডিজিসিএ) ইতোমধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া বোয়িং-এর একটি কারিগরি দলও তদন্তে যোগ দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানে বিপুল পরিমাণ জ্বালানির কারণে দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ড আরও মারাত্মক রূপ নিয়েছে, যার ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ঘটনার পর দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এবং আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, দুর্ঘটনার পরবর্তী কার্যক্রম ও তদন্তে কেন্দ্র সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এই দুর্ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার এবং কারিগরি বিশ্লেষণের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে ভারতজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।