২০২০ সালে প্রার্থী মিশেল ওবামা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ। সব ধরনের হিসাব পাল্টে, গোটা বিশ্বকে চমকে অস্বাভাবিক জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরাজিত হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন। সাবেক এই ফাস্ট লেডিকে যারা মার্কিন মুল্লুকের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কল্পনা করেছিলেন, তাদের স্বপ্নভঙ্গ আর হতাশার মধ্য দিয়েই শেষ হওয়ার কথা ছিল এবারের মার্কিন নির্বাচন।
কিন্তু ট্রাম্পের জয়ের পর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে শুরু হয়ে যায় ট্রাম্পবিরোধী সমাবেশ। ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকরা ‘ট্রাম আমার প্রেসিডেন্ট না’ ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে শামিল হয়। ম্যাক্সিকো সীমান্তের ডেমোক্রেট প্রভাবিত ক্যালিফোর্নিয়া তো যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আলাদা হয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছে।
কিন্তু এই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে আরেক দল আবার আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করে দিয়েছে। আর সেই নির্বাচনের জন্য তারা একজন প্রার্থীকে সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি হচ্ছেন, বর্তমান ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা।
অবশ্য এটা ঠিক, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, মিশেল ওবামা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান ও ইনডিপেনডেনটের খবরে বলা হয়েছে, ফাস্ট লেডি মিশেলের সমর্থকরা এরই মধ্যে তাঁর ‘#মিশেল২০২০’ দিয়ে টুইট করা শুরু করে দিয়েছেন।
ক্যামেরন ক্যাভান নামে একজন টুইট করেছে, এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। হিলারি হলে দুজনের মধ্যে কম শয়তানটি হতেন। ২০২০ সালের আমাদের একমাত্র আশা, মিশেল ওবামা।
ইমা কেনেডি লিখেছেন, ২০২০ সালের দিকে এগিয়ে যাও মিশেল
তামিরোমান পরিচয়ে একজন লিখেছেন, ‘… সুতরাং আমরা বোধ হয় ২০২০ সালের নির্বাচনের জন্য মিশেল ওবামার পক্ষে কাজ শুরু করে দিতে পারি; #মিশেল২০২০’
লিভ আইডি থেকে লিখেছেন, মিশেল ওবামাকে ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় ভালোভাবে প্রচারও করতে হবে না। তিনি মঞ্চে হাঁটবেন আর দুটো কথা বলবেন, তাহলেই জয়
আরেকজন লিখেছেন, মিশেল ওবামা আপনাকে ২০২০ সালের নির্বাচনে লড়ার অনুরোধ করছি। আমেরিকার হাল ধরার জন্য এই সময়ে এমন একজন প্রয়োজন।
সারনি ডিজিটাল টুইট করেছেন, ২০২০ সালে মিশেল ওবামা প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। আজ থেকে চার বছর পর আবার এই টুইটটাই আসবে।
ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আগামী চার বছরে মিশেল ওবামার পরিকল্পনা কী এটা এখনো পরিষ্কার না। তবে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর তাঁর বয়স্কদের ও নারীদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। ফাস্ট লেডি থাকাকালে তাঁর মার্জিত ও পরিশীলিত বাচভঙ্গি অনেককে আকৃষ্ট করেছে। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ ও পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার।