মালিকদের সম্পদ জব্দ নয় : মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা

মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিক নিয়োগের কারণে মালিকদের সম্পদ জব্দ করার পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন দেশটির ব্যবসায়ী নেতারা।
মালয়েশিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) সমিতির প্রেসিডেন্ট মাইকেল কাং বলেন, এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা আর চালাতে পারবে না। এমনিতেই মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। যদি এমনটা হয়, তাহলে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি আরো খারাপ হয়ে যাবে।
কাং বলেন, মালয়েশিয়ার বেশির ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা অবৈধ শ্রমিকদের কাজে নেয়। কারণ, বিদেশ থেকে শ্রমিকদের এ দেশে নিয়ে আসা এবং ভিসা প্রসেসিং করা—এ সবকিছুই অনেক জটিল। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা অবৈধ শ্রমিকদের কাজে নিয়েছে। সবাইকে বৈধ কাজের ভিসা দেওয়া হবে, সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিদেশি শ্রমিক আনার একটি সহজ ও সঠিক পদ্ধতি থাকা দরকার। মালয়েশিয়ায় এখনো ছয় লাখ পাঁচ হাজারের বেশি অবৈধ শ্রমিক আছে বলে দাবি করেন কাং।
মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স ফেডারেশনের প্রধান সও চোও বুন বলেন, মালয়েশিয়ান শিল্পকারখানাগুলোর ক্ষতি করার জন্য সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি অবৈধদের বৈধ করার প্রক্রিয়া সহজ করা, সহজে পারমিট রিনিউ করার প্রক্রিয়া চালু করা এবং লং টার্ম ভিসা পলিসি চালু করার পরামর্শ দেন সরকারকে।
এ সবকিছু করা না হলে মালয়েশিয়ান শিল্পকারখানা আরো ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মনে করেন বুন।
মালয়েশিয়ার মালয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতির সমিতির সভাপতি মোহামেদ এজাত আমির বলেন, অভিবাসন বিভাগ এইটা করলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে শিল্পকারখানাগুলোতে।