এশিয়ার দেশগুলোর প্রায় ৩৫০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শুরু হয়েছে আইক্যাপ সম্মেলন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এর উদ্বোধন করে ঘোষণা দিলেন, ‘এক এশিয়া’ গড়ার লক্ষ্যেই এই সম্মেলন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সম্মেলন শুরু হলেও মূলত আজ  শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব এশিয়ান পলিটিক্যাল পার্টির নবম সম্মেলনের মূল পর্ব। কুয়ালালামপুরের পুত্রা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ‘এক এশিয়া’ স্লোগানে এবারের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।

সম্মেলনে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে নাজিব রাজাক বলেন, ‘আমরা এক এশিয়া গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে উদ্বেগ জানিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, যা হিরোশিমার বিধ্বংসী বোমায় নিহতদের সমপরিমাণ।’

সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে নাজিব রাজাক জোর দিয়ে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় মুসলিম সন্ত্রাস বলে কিছু নাই। আর দেশের নিরাপত্তার জন্য বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।’ 

উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের হয়ে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আইক্যাপের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মেজর খালেদ আখতার (অব.) ও সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন আইক্যাপের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, রাশেদ বাদল এবং মিনহাজ উদ্দিন মিরান।

বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও আইন শাখার সদস্য মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও মালয়েশিয়া বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুব আলম শাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, জাতীয় কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন, জাতীয় যুব জোট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন রশিদ প্রমুখ।