ইন্দোনেশিয়ায় ফেরি ডুবে নিহত ৪, নিখোঁজ ৩৮

ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বালি দ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করার পথে একটি ফেরি ডুবে গেছে। এই ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত ও ৩৮ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভা থেকে বালি যাচ্ছিল ফেরিটি। ৬৫ জন যাত্রী বহনকারী এই জাহাজটি বানুয়াঙ্গি (পূর্ব জাভা) থেকে যাত্রা করেছিল। বানুয়াঙ্গি পুলিশের প্রধান রাম সামতামা পুত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, ৪ জন মারা গেছেন।
জাভাভিত্তিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান নানং সিগিট একই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছিল। তবে বর্তমানে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়েছে। তিনি জানান, ২ দশমিক ৫ মিটার (৮ ফুট) পর্যন্ত উঁচু ঢেউ এবং তীব্র বাতাস ও শক্তিশালী স্রোত উদ্ধার অভিযানে প্রভাব ফেলেছিল।
এইউএসএসওএম জানিয়েছে, কেএমপি তুনু প্রাতামা জয়া নামের ফেরিটি নোঙর তোলার প্রায় ২৫ মিনিট পর ডুবে যায়। ফেরির যাত্রীদের তালিকা অনুযায়ী, ৫৩ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তবে উদ্ধারকারীরা বলছেন, ফেরির যাত্রী তালিকার চেয়ে বেশি মানুষ জাহাজে ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়শই জাহাজে প্রকৃত যাত্রী সংখ্যা তালিকার চেয়ে বেশি হয়।
নৌবাহিনী ও পুলিশসহ অন্তত ৫৪ জন উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে একটি বড় জাহাজও উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। জাভার কেটাপাং বন্দর থেকে বালির গিলিম্যানুক বন্দরের ফেরি পারাপার ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত পথ। এই পথে প্রায় ৫ কিলোমিটার (৩ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। জানা গেছে, ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে ১৪টি ট্রাকসহ মোট ২২টি যানবাহন পরিবহণ করা হচ্ছিল। ফেরিটিতে কোনো বিদেশি নাগরিক ছিলেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইন্দোনেশিয়ায় সামুদ্রিক দুর্ঘটনার প্রবণতা
ইন্দোনেশিয়া প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ। এখানে খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত মার্চ মাসে বালির উপকূলে ১৬ জন যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে একজন অস্ট্রেলীয় নারী নিহত হন। ২০১৮ সালে সুমাত্রা দ্বীপের বিশ্বের অন্যতম গভীর হ্রদে একটি ফেরি ডুবে দেড় শতাধিক মানুষের সলিল সমাধি হয়েছিল।