ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পররাষ্ট্রনীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি জিতেই যান, তাহলে কেমন হবে তাঁর পররাষ্ট্রনীতি? আসলেই কি অভিবাসীদের বের করে দেবেন তিনি? কেমন হবে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক?
এসব নিয়ে ওঠা নানা প্রশ্নের জবাব নিজেই দিয়েছেন ট্রাম্প। এক বক্তব্যে নিজের বিদেশনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির মূলকথা হলো ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রনীতিকে তিনি চরম বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জয় পাওয়ার পর ট্রাম্প নিজেকে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গত মঙ্গলবার ভাষণ দেন। বক্তব্য শুরুর আগে ট্রাম্প বলেন, এটা শুধু তাঁর নিজের মতবাদ নয়। নির্বাচিত হলে এই নীতিতে কিছুটা নমনীয়তা আনবেন বলেও জানান তিনি। পুরো ভাষণজুড়েই ছিল ওবামা প্রশাসনের দুর্বলতা, বিভ্রান্তি এবং ভুলগুলো উপস্থাপন করা। ট্রাম্প আশা করেন, তিনি এগুলো উতরে যাবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে একটা ঝাঁকি দেওয়ার কথা বলে বক্তব্য শুরু করেন ট্রাম্প। এর আগে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্পর্কে ওবামা বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে তাদের তেল ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। এ ছাড়া তাদের কঠিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মঙ্গলবারের বক্তব্যেও এ কথার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। ট্রাম্প বলেন, ‘ক্রমবিস্তারমান ইসলামী মৌলবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শুধু মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নয়, পুরো বিশ্বেরই নীতি হওয়া উচিত।’ ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করবেন বলেও জানান ট্রাম্প।
ক্ষমতায় গেলে ন্যাটোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাও রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এ ছাড়া ইসলামী মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সাধারণ আলোচনাও চান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন যে রাশিয়া যুক্তিসংগত কথা বোঝে না। এর কারণটাও আমি খুঁজে দেখতে চাই। আমি চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও ঠিক করতে চাই।’