বিকলাঙ্গ জেসিকা এখন খ্যাতিমান বিউটিশিয়ান

মানুষের সাফল্যের গল্পগুলোর শুরুটা বোধহয় এমনই হয়। কঠিন, কণ্টকাকীর্ণ পথ। তবু লক্ষ্যে অবিচল থেকে পথ চলা আর এক সময় সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছানো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার জেসিকা রুইজের এই কণ্টকাকীর্ণ পথে চলাটাও এত সোজা ছিল না। চলবেন কি করে, ছোটোবেলা থেকেই যে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত । আর এতে পঙ্গু হাত আর পা দুটিই।
কিন্তু সেই রোগ তাঁর মনকে আক্রান্ত করতে পারেনি বরং হার মেনেছে তাঁর না হারা মানসিকতার কাছে। আর অবশেষে আজ তিনি সফল। আর যারা একদিন বলেছিল, তিনি কোনোদিন কোনো কাজ করে সফল হতে পারবেন না; তাদের মুখের ওপর জবাব দিয়ে সেই বিকলাঙ্গ জেসিকা এখন খ্যাতিমান বিউটিশিয়ান।
সাফল্যের পথে এই কণ্টকাকীর্ণ পথে চলার গল্পটা যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বলেছেন জেসিকা নিজেই। জন্ম থেকেই অথ্রোগ্রেপোসিস নামের একটি কঠিন রোগে আক্রান্ত তিনি। এই রোগে তিনি হাত ও পা নাড়াতে পারেন না। আর এর ফলে, ছোট থেকে স্কুলে আর পাঁচজন সহপাঠীর থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন তিনি। আর সেখানে থেকেই নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা করে গড়ে তোলার অদম্য জেদ চেপে যায় তাঁর মনে।
একসময় ইচ্ছে জাগে তিনি মেকআপ আর্টিস্ট হবেন। ভাবনা অনুসারে ভর্তিও হন মেকআপ শেখানোর স্কুলে। কিন্তু সেখানেও মেলে অপমান। বলা হয়, তাঁর নাকি জীবনে কোনো কিছুই হবে না।
আর ঠিক এই ‘না’ শোনার সাথে সাথে শুরু হয় জেসিকার নতুন জীবন। মুখে মেকআপের ব্রাশ ধরে অনায়াসে আজ তিনি সাধারণ কোনো মহিলাকে অনন্য সাধারণ করে তুলতে পারেন। আর তাঁর এই কাজের জন্য মিলেছে স্বীকৃতিও। এরইমেধ্য বিশ্বের খ্যাতনামা মেকআপ শিল্পী হিসেবে তিনি স্বীকৃত। আর এখন এই কাজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডাক পাচ্ছেন একসময়ের ‘অসহায়’ জেসিকা।