বিজেপিতে প্রবীণদের বিদ্রোহ

ভারতের বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির ভরাডুবির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করলেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এমন মনোভাবই পোষণ করেছেন তাঁরা। বিজেপির এ নেতারা হলেন লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলি মনোহর যোশী, যশবন্ত সিনহা ও শান্তা কুমার।
বিবৃতিতে নেতারা অভিযোগ করেন, বিহারের ফলাফল প্রমাণ করে দিল্লির হারের পর এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো বিহার হারের দায় সবার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের মূল দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। কিন্তু বিহারে বিজেপির পরাজয়ের দায় দলের বলে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ এর আগে যেখানেই বিজেপি জিতেছে সেখানেই কৃতিত্বের দাবি নিয়েছেন এই দুই জুটি।
বিজেপির এ চার প্রবীণ নেতা বিবৃতিতে বলেন, যেভাবে দল চালানো হচ্ছে, সেটাই হারের অন্যতম কারণ। দিল্লি এবং বিহারে পরপর বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার কারণ যেমন পর্যালোচনা করা উচিত, তেমনি এটাও ভেবে দেখা উচিত কীভাবে দল চালানো হচ্ছে। আগে যেমন দলে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে দল চালানো হতো, এখন সেই নীতি না মেনে গুটিকতক ব্যক্তির দ্বারা দল চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে অবিলম্বে পর্যালোচনা করা উচিত বলেও মনে করেন এ চার নেতা।
এমনকি বিহারে যাঁরা দলের হয়ে প্রচারে ছিলেন, তাঁদের হাতে এই পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয় বলেও মনে করেন তাঁরা।
শুধু এ চার নেতাই নন, মোদির কাজে অসন্তুষ্ট বিহারের বেগুসরাইয়ের দুবারের বিজেপি সংসদ সদস্য ভোলা সিং। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ‘অশালীন ভাষা’ ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন তিনি।
ভোলা সিং অভিযোগ করেন, বিহারে নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি-অমিত শাহ অঞ্চলটির অনুন্নয়নকে প্রাধান্য না দিয়ে প্রচারণাকে সাম্প্রদায়িক করে তুলেছিলেন। তিনি বলেন, বিহারে ভোট প্রচারে এসে মোদি ‘সবকা বিকাশ, সবকা সাথ’ স্লোগান ছেড়ে দিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলতেন।
বর্ষীয়ান চার নেতার মধ্যে লালকৃষ্ণ আদবানি বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মুরলি মনোহর যোশী দীর্ঘদিন বিজেপির সভাপতি ও বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে, যশবন্ত সিনহা অর্থমন্ত্রী-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে, শান্তা কুমার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।