দিল্লিতে নেওয়া হয়েছে গ্যাংস্টার ছোটা রাজনকে

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী ছোটা রাজনকে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে ইন্দোনেশিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়। একসময় আন্ডারওয়ার্ল্ড অপরাধী দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ছিলেন দাউদ। সপ্তাহখানেক আগে দেশটির বালিতে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে ভারতীয় পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ছোটা রাজনের আসল নাম রাজেন্দ্র নিকালজে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগে ৮০টির বেশি মামলা রয়েছে। ভারতের মাটিতে পা রাখার পর কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) ৫৫ বছর বয়সী গ্যাংস্টারকে হেফাজতে নেয়।
ছোটা রাজনকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লি থেকে একটি বিশেষ বিমান ইন্দোনেশিয়ায় পাঠানো হয়। সিবিআই সদর দপ্তরে তাঁকে কখন নেওয়া হয়, সেটি এখনো কেউ জানে না। সশস্ত্র ভ্যান, একটি সোয়াত দল, কমান্ডো দল ও নকল গাড়ির (ডিকয় কার) একটি বিশাল বহরে ছোট রাজনকে নিয়ে যাওয়া যায়।
আদালতে হাজির করার পর রাজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে ধারণা হচ্ছে। হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সূত্র জানিয়েছে, রাজনের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে।
গ্যাংস্টার ছোটা রাজন বহু বছর অস্ট্রেলিয়ায় লুকিয়ে ছিলেন। শত্রুপক্ষের মৃত্যুর আশঙ্কায় তিনি বালিতে চলে যান, যেখানে গত ২৫ অক্টোবর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে তিনি কোনো বাধা দেননি।
ভারতের কর্তৃপক্ষের কাছে রাজন জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ও সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিম তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। দাউদ তাঁর সাবেক বস, যিনি এখন শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছেন।
ছোটা রাজন বলেন, ‘মুম্বাই পুলিশের কারো কারো দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। আমার ওপর মুম্বাই পুলিশ অনেক অত্যাচার করেছে। কেউ কেউ দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে মিশে গেছেন।’
চলচ্চিত্রের টিকেট বিক্রির মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করা রাজন দাউদ দাউদের অনুগত ছিলেন। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে মুম্বাইয়ে আধিপত্য করা দাউদের ‘ডি-কোম্পানি’ নামে একটি আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্রুপ ছিল। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দাউদ অভিযুক্ত।