মোদি মাস্টারের ক্লাস

জীবনে মা ও শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা জন্ম দেন, আর শিক্ষক দেখান জীবনের দিশা। জীবনে শিক্ষকের অবদান কখনোই অস্বীকার করা যায় না। শিক্ষক দিবসের আগে আজ শুক্রবার শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়ে এ কথাই বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রীতিমতো মাস্টারমশাইয়ের মতো শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষকদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
সকালে দিল্লির মানেকশ অডিটোরিয়ামে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এবং ৬০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মুখোমুখি হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শিক্ষকদের প্রণাম জানাই। কারণ, শিক্ষকরাই একটা প্রজন্মকে তৈরি করেন। একটি শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনে শিক্ষকের ভূমিকা থাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকের কাজ আর পাঁচটা পেশার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, ‘আমরা এ পি জে আবদুল কালামের মতো শিক্ষককে দেখেছি। যিনি চাইতেন, সারা জীবন তাঁকে যেন শিক্ষক হিসাবেই স্মরণ করা হয়।’
ছেলেমেয়েদের ওপর কখনোই অভিভাবকদের নিজেদের ইচ্ছা যেন চাপিয়ে দেওয়া না হয় এই আবেদন জানান মোদি। তিনি বলেন, প্রতিটি ছেলেমেয়েদের প্রতিভাকে নিজের মতো করেই বিকশিত হতে দেওয়া উচিত।
একই দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের নয়টি রাজ্যের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শিক্ষার্থীরা মোদির কাছ থেকে তাঁর ফ্যাশন বিশেষ করে মোদি কুর্তা সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে মোদি বলেন, ‘আমি একদিন স্বেচ্ছায় নিজের বড় কুর্তার হাতাটা কেটে দিয়েছিলাম। এই পোশাকেই আমি স্বাচ্ছ্ন্দ্য বোধ করি। অনেকেই ভাবেন আমার ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন। আসলে আমি কোনো ফ্যাশন ডিজাইনারকে চিনি না। যে পোশাকে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি আমি সব সময় সেই পোশাকটাই পরি।’
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে মোদি আরো বলেন, দেশসেবার জন্য রাজনীতি কিংবা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। বিভিন্নভাবেও দেশের সেবা করা যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের নামে বিশেষ ধাতব মুদ্রা প্রকাশ করেন।