ভারত থেকে যেভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হবে ব্রিটিশ এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি

কেরালার তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে রানওয়েতে আটকে থাকা ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির অত্যাধুনিক এফ-৩৫বি স্টেলথ যুদ্ধবিমানটি অবশেষে একটি হ্যাঙ্গারে (মেরামতের ঘর) সরানো হয়েছে। যুদ্ধবিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত সম্ভব না হওয়ায় এটি আকাশে উড়তে পারছে না। ফলে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধযানটিকে কার্গো বিমানে করে ব্রিটেনে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
আজ রোববার (৬ জুন) ভরতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৫ জুন জরুরি অবতরণের পর থেকেই এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি রানওয়েতে আটকা পড়েছিল। ব্রিটিশ প্রকৌশলীরা দীর্ঘ সময় ধরে বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের চেষ্টা সফল না হওয়ায়, বিমানটিকে টো ট্র্যাক্টরের মাধ্যমে টেনে রানওয়ে থেকে হ্যাঙ্গারে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য থেকে নতুন একটি প্রকৌশলী দল এয়ারবাস এ৪০০এম অ্যাটলাস বিমানে করে তিরুবনন্তপুরমে পৌঁছেছেন। এই দলটি খতিয়ে দেখবে যে বিমানটি স্থানীয়ভাবে মেরামত করা সম্ভব কিনা। অন্যথায় এটির ডানাগুলো খুলে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার কার্গো বিমানে করে ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিতে হবে।
এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটির মূল্য ১১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমানগুলোর একটি। এর প্রযুক্তি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই বিমানটি খোলার সময় ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী এটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
বিমানটির ডেটা ফাঁসের ঝুঁকি কমাতে প্রতিটি পদক্ষেপ রেকর্ড করা হবে। ডানা খোলার সময় প্রতিটি স্ক্রু-তেও নিরাপত্তা কোড দেওয়া হবে। স্টেলথ প্রযুক্তি চুরি হলে এটি সামরিক গোপনীয়তা ফাঁস করে দিতে পারে। যা কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তাই জাতীয় প্রতিরক্ষা অখণ্ডতার জন্য এই সংবেদনশীল প্রযুক্তি রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে একটি এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানের ডানা অপসারণ করে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে করে বিমানপথে পরিবহন করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এবারও যুদ্ধবিমানটিকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।