ধর্ষণের শিকার মেয়েকে নিয়ে ৪ কিলোমিটার হেঁটে হাসপাতালে

ধর্ষণের শিকার নয় বছর বয়সী মেয়েকে প্রতি সপ্তাহে চার কিলোমিটার পথ হেঁটে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের এক বাবা। দুই মাস ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্ব সিংভুম জেলার ওই বাবার একটি বাইসাইকেল কেনার সামর্থ্য পর্যন্ত নেই।
গত জুলাই মাসে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় এক লোক। নদীর পাশে নিয়ে তাঁকে কয়েকবার ধর্ষণ করে সে। এতে মেয়েটির অন্ত্র ছিঁড়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঝাড়খন্ডের হাইকোর্ট এগিয়ে এসেছে, মেয়েটির পরিবার কিছুটা আশার আলো পেয়েছে। স্থানীয় অঞ্চল উন্নয়ন কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় কুমার বলেন, ‘আমরা তাকে চাকরি দেব। আমরা তাদের খাদ্যশস্যও দেব। সরকারি পরিকল্পনায় আমরা তাদের জমিও দেব।’
মেয়েটির বাবা এনডিটিভিকে বলেন, ‘এরই মধ্যে মেয়েটিকে ৫০-৬০টি স্যালাইন ও অনেক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। রাঁচির চিকিৎসকরা বলেছেন, সে ভালো হয়ে যাবে; কিন্তু মেয়েকে এখানে সাপ্তাহিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিয়ে আসতে হবে। আমি তাকে প্রতি সপ্তাহেই নিয়ে আসি, তবে এটা অত্যন্ত কষ্টকর।’
ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ওই লোককে গ্রেপ্তার করেছে। সে আরেকটি ধর্ষণে জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ভারতের জাতীয় অপরাধবিষয়ক রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ঝাড়খন্ডে এক হাজার ৫০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঝাড়খন্ড রাজ্যে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ঘাটতি রয়েছে। এর অর্থ হলো, এই পরিবারসহ দরিদ্র পরিবারগুলোর পক্ষে চিকিৎসা সহায়তা পাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর।