খ্যাতনামাদের জন্মভিটে ও স্মৃতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে পর্যটন

খ্যাতনামা বাঙালিদের জন্মভিটে ও স্মৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটক টানার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের পর্যটন করপোরেশন। ৩১ জুলাই থেকে ২ আগস্ট কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় (টিটিএফ) সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উপব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) মুহম্মদ জিয়াউল হক হাওলাদার।
মুহম্মদ জিয়াউল হক হাওলাদার বলেন, খ্যাতনামা বাঙালিদের জন্মভিটেকে দেশের পর্যটন মানচিত্রে স্থান দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে আছে, সুচিত্রা সেনের পাবনার গোপালপুরের জন্মভিটে। এটি পর্যটনের স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন করে কেউ যেন স্থানটি দখল করতে না পারে এই লক্ষে এর দেখভাল করছে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। নতুন করে সুচিত্রা সেনের জন্মভিটের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যার অর্থায়ন করছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
জিয়াউল হক আরো বলেন, কুষ্টিয়ার লালন ফকিরের যে ভিটে রয়েছে তা খুব একটা দূরে নয়। দুই ভিটেকেই একইসঙ্গে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
শুধু সুচিত্রা কিংবা লালন ফকিরই নন যেসব বাঙালি বাংলাদেশ তো বটেই, ভারত তথা বিশ্বের কাছে পরিচিত তাঁদের গুরুত্ব দিচ্ছি পর্যটন। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, তেমনই আছেন সত্যজিত রায় বা মিঠুন চক্রবর্তী। বাংলাদেশের বাসিন্দা না হলেও তাঁদের যেটুকু অস্তিত্ব বা স্মৃতি বাংলাদেশে রয়েছে, সেগুলো পর্যটন কেন্দ্রের মর্যাদা পাবে।
কলকাতার সাংবাদিকদের জিয়াউল হক বলেন, বরিশালে যেমন মিঠুন চক্রবর্তীর ভিটে সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। পুরনো ঢাকায় অমর্ত্য সেনের বাড়িটিও এই তালিকায় আছে। ভারতে চলে যাওয়ার আগে তাঁর বাবা আশুতোষ সেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন পড়াতেন। তাই অমর্ত্য সেনের ছোটবেলা কেটেছে ঢাকাতেই। সত্যজিত রায়ের নামে একটি মিউজিয়াম করা হয়েছে চার কোটি টাকা খরচ করে। যেখানে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী পর্যটন আকর্ষণের জন্য পুরান মন্দিরগুলোও পরিকল্পনায় আছে।
জিয়াউল হক বলেন, পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দর্শনীয় সব স্থানের পাশাপাশি আছে সিলেটের চা বাগান, চট্টগ্রামের পাহাড় বা কক্সবাজারের সমুদ্র।