জাপানের রাজনীতিবিদদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি

জাপানের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া দেশটির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিয়মিত নজরদারি করে মার্কিনিরা। এ তালিকায় আছে জাপানের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি মিতসুবিশিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। আজ শুক্রবার ফাঁস করা নতুন এক নথিতে এ কথা জানিয়েছে উইকিলিকস।
উইকিলিকসের সূত্রে যুক্তরাজ্যের দি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় জানানো হয়, জাপানের মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে শুরু করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর এবং বড় কোম্পানি মিত্সুবিশিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ‘এনএসএ’।
উইকিলিকস ফাঁস করা নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের নজরে থাকা জাপানের এমন ৩৫টি বড় কোম্পানি ও ব্যক্তির নাম-টেলিফোন নম্বর উল্লেখ করেছে, যেসবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি ছিল।
এক বিবৃতিতে উইকিলিকস দাবি করে, ওই তালিকা অনুসারে জাপানের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রথম মেয়াদের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টার ওপর এনএসএর গোয়েন্দারা নজরদারি করেছেন। এ নজরদারি ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল।
জাপানের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যু, যেমন—বাণিজ্য আলোচনা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধের নীতি, পরমাণু ও জ্বালানিনীতি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী আবের বাসভবনের গোপন ব্রিফিংয়ের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ছিল।
উইকিলিকসের ফাঁস করা নতুন এ তথ্যের ব্যাপারে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ জাপানের মতো জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের নেতাদের ওপরও এনএসএর গুপ্তচরবৃত্তির খবর ফাঁস করে উইকিলিকস। এ নিয়ে দেশগুলো কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তবে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।