ট্রাম্প বৈধ প্রেসিডেন্ট নন, বলার পর বিতর্ক শুরু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্য করার পর কংগ্রেস সদস্য ও মানবাধিকার নেতা জন লুইস সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে ট্রাম্পও তাঁর সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েন।
জন লুইস মন্তব্য করেন, ট্রাম্প বৈধ প্রেসিডেন্ট নন। এরপর ট্রাম্প টুইট করেন, লুইস কেবল কথা বলেন। নিজের নির্বাচিত এলাকায় মনোযোগ দেওয়া উচিত তাঁর।
এরপর লুইসের সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, তিনি একজন নায়ক এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। ১৯৬৩ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের নেতৃত্বে ওয়াশিংটন অভিমুখী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়া শেষ জীবিত ব্যক্তি জন লুইস।
এদিকে, মানবাধিকারকর্মী আল শার্পটনের নেতৃত্বে আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রার মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্টিন লুথার কিংয়ের স্মৃতিস্তম্ভে গেছেন। তাঁদের স্লোগান : ‘ন্যায়বিচার নেই, শান্তি নেই’।
গত শুক্রবার জন লুইস বলেন, তিনি ট্রাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকছেন না। এর কারণ রিপাবলিকান ট্রাম্প বৈধ প্রেসিডেন্ট নন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাশিয়ার লোকজন এই লোকটাকে জেতাতে সহায়তা করেছে। এবং তারা হিলারি ক্লিনটনের প্রার্থিতা বিনষ্ট করেছে।’
এরপর শনিবার ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচনীফল নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ না করে কংগ্রেসম্যান জন লুইসের উচিত নিজের এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বলায় ব্যস্ত থাকা। তাঁর এলাকার অবস্থা খুব খারাপ অবস্থা এবং আরো পতনের দিকে যাচ্ছে। খালি কথা, কথা কথা—কোনো কাজ নেই বা ফলাফল নেই।’
এরপর ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট দলে সিনেটর কামালা হ্যারিস বলেন, ‘জন লুইস মানবাধিকার আন্দোলনের একজন কিংবদন্তি, তিনি ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে ভয়হীন।’ একইভাবে সমালোচনা করেন বিভিন্ন মহলের লোকজন।