ইংল্যান্ডে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে চার সপ্তাহের জন্য যুক্তরাজ্যে বার, জিম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে বলে জানান বরিস। রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে। তবে বসে খাবার খাওয়া যাবে না, শুধু টেকঅ্যাওয়ে সার্ভিস চালু থাকবে। এক মাস পর অর্থাৎ ২ ডিসেম্বরের পর আবারও টায়ার সিস্টেমে ফিরে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তবে গতবারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে না এবার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা থাকবে। শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা শুধু বাইরে যেতে পারবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এপ্রিলে দেশে যে অবস্থা হয়েছিল তার চেয়েও ভয়াবহ আকার নিয়ে করোনায় দৈনিক কয়েক হাজার করে মানুষের মৃত্যুর যে পূর্বাভাস মিলছে, কোনো দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তা অবজ্ঞা করা সম্ভব নয়। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা খাত যেন চিকিৎসায় এবং নৈতিক বিপর্যয়ে না পড়ে সেজন্যই দ্বিতীয় দফার এই লকডাউন।’

চাকরিজীবীদের বেতনের ৮০ শতাংশ বরাদ্দ নভেম্বর পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বরিস বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে যে প্রভাব পড়বে তার জন্য আমি সত্যি, সত্যিই দুঃখিত।’  

জনসন বলেন, ‘এবারের ক্রিসমাস ভিন্ন ধরনের হতে যাচ্ছে, সম্ভবত খুবই আলাদা। কিন্তু আমি আশা ও বিশ্বাস করছি যে, এখন কঠিন পদক্ষেপ নিলে পরবর্তীতে পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে হওয়ার অনুমতি দিতে পারব।’

এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ১০ লাখ ১১ হাজার ৬৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৬ হাজার ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান সাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য জানিয়েছে।