করোনাভাইরাসে ৫৬৩ জনের মৃত্যু, হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে। এ ছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে চীন ছাড়াও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ২৫টি দেশে। এরই মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইন ও হংকংয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে (পৃথক করে রাখা) রেখে পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে হংকং।
এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম করোনাভাইরাস ঠেকাতে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা চেয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি। সময় অনেক গড়ালেও আক্রান্ত এলাকায় ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির এখন পর্যন্ত তেমন উন্নতি হয়নি। উল্টো অবনতি হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভাইরাসটি সংক্রমিত হচ্ছে আশপাশের একাধিক শহরে। বেশ কিছু জায়গা নতুন করে অবরুদ্ধ করেছে চীন সরকার। একটা করে রাত কাটছে আর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। আর গতকাল মৃতের সংখ্যা অতীতের সব পরিসংখ্যানকেও ছাড়িয়ে যায়।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ত্রুটি ও নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে নিয়েছে চীনের শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সভাপতিত্বে বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি বলছে, এখন দেশের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনার সিস্টেমে উন্নতি ঘটাতে হবে। এ ছাড়া ভাইরাসের উৎপত্তিস্থলের বন্যপ্রাণীর বাজারে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভারতের নয়াদিল্লিতেও ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। দক্ষিণের রাজ্য কেরালায় এরই মধ্যে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এরপরই করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ‘রাজ্য বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করে কেরালা সরকার।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, তাইওয়ান, ব্রাজিলসহ আরো অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে ফেরত আনার কাজ শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী এমন আতঙ্কের মাঝে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রকোপ থামার কোনো লক্ষণ নেই। আর এটি প্রতিরোধে আশার আলোও দেখাতে পারছেন না কেউ।