পাহাড় চূড়ায় তাঁবুবাস ও গুহা দর্শন

তাঁবুতে রাত্রিযাপনের ইচ্ছা সোনাদিয়া দ্বীপেই পূরণ হয়েছিল। তবে পাহাড়ের উপর ক্যাম্পিংয়ের ইচ্ছাটা মনের মাঝে ছিল। সময়-সুযোগ মিলতেই ট্যুর গ্রুপের সাথে চলে গেলাম বান্দরবান। এবার পাহাড়ের চূড়ায় হবে তাঁবুবাস; গন্তব্য— মারায়ন তং (মারাইং তং)। আলীকদম পৌঁছে পাহাড় ট্রেকিংয়ের আগে গিয়েছিলাম গুহা দর্শনে। এই সফরে অবশ্য পাহাড়, গুহার পাশাপাশি সমুদ্র ভ্রমণও হয়েছিল। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সময় কাটানো ছাড়াও দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে ঘুরে এসেছি।
সকালে আলীকদম পৌঁছে নাশতার পর প্রথমে আলীর গুহা ঘুরে আসার সিদ্ধান্ত হলো। অটোরিকশায় চড়ে গেলাম আলীর গুহা, যা আলীর সুড়ঙ্গ নামেও পরিচিত। অটোরিকশা থেকে নামার পরই শুরু হলো পাহাড়ে উঠা। পর্যটন স্পট হিসেবে সরকারি কার্যক্রম থাকলেও তা বেশ পরিত্যক্ত মনে হলো। দেখাশোনায় ছিলেন না কেউ। নিজেদের মতো করে চললাম। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী গিরিখাদ ধরে হাঁটছি। দুইপাশে উঁচু উঁচু পাহাড়, মাঝে ঝিরির উপর সরু রাস্তা। গুহায় প্রবেশের আগেই যেন গুহা ভ্রমণ হচ্ছে! মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে সূর্য, তবে আলো ঠিক নিচ পর্যন্ত এসে পৌঁছাচ্ছে না। পিচ্ছিল রাস্তা, কোথাও উঁচু কোথাও নিচু, শিলা ও পাথর জায়গায় জায়গায়। ভাবছি বর্ষাকালে এলে কী ভোগান্তিই না হতো! এত সরু ও পিচ্ছিল রাস্তায় পানি থাকলে এগোনো শুধু কষ্টসাধ্যই নয়, ভারী বৃষ্টিতে অসম্ভবও বটে।

পাহাড়ি ট্রেইল পেরিয়ে গুহামুখে উঠতে খাড়া রাস্তা। কঠিন শিলা ও পাথুরে পথে খাড়া পাহাড়ে উঠা সম্ভব নয়। তাই পর্যটকদের জন্য সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার খানিক পরেই মিলে গুহামুখ। গুহার প্রবেশ মুখটি খুবই ছোট। এতটাই ছোট যে, তুলনামূলক বেশি মোটা লোকজন এখান দিয়ে ঢুকতে পারবে না। গুহায় ঢুকতে হয় শুয়ে। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঢোকাও আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। এছাড়া চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা গুহার ভেতরের অংশ খুবই অন্ধকার। প্রবেশের পর হাতে টর্চ বা মোবাইল ফোনসেট রাখারও সুযোগ নেই। পথ দেখতে মুখে মোবাইল সেট কামড়ে ধরে সেটের টর্চের আলো জ্বেলে শুরু হয় অ্যাডভেঞ্চার। প্রথমে শুয়ে, তারপর হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যাওয়া। খুবই সাবধানে এগোতে হচ্ছে। যতটা সম্ভব শক্ত করে পাহাড়ের গা ধরে ধরে এগোনোর চেষ্টা। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতেও পাহাড়ের গা খুবই পিচ্ছিল ও কর্দমাক্ত। মূলত, এখানে আলো আসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা। বর্ষাকালে এখানে প্রবেশ অসম্ভব, তাই ওই সময়ে এই গুহা দর্শন বন্ধ থাকে।
কিছুক্ষণ পর বসে এগোনোর সুযোগ হলো। এরপর দাঁড়ানোর পরিস্থিতি হলেও মাথা উঠানো যাচ্ছিল না। খানিক পর আসে পুরোদমে দাঁড়িয়ে হেঁটে চলার সুযোগ। তখনও খুব সাবধানে পাহাড়ের গা ধরে ধরে এগোতে হচ্ছিল। কারণ, গুহার আকার যতটা বড় হচ্ছিল, পানি ও কাদার পরিমাণ ততই বাড়ছিল। গুহার পথটি সরু থেকে ক্রমশ প্রশস্ত হয়। তাই অল্প পথ চলতেও বেশ সময় লাগে। দুজন পাশাপাশি চলা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা, অপর পাশ থেকে কেউ ফিরতি পথে মুখোমুখি হলে দুজনের কেউই আগাতে পারবে না! এখানে প্রবেশ ও ফেরার পথ একটাই। গুহার শেষপ্রান্তে খাড়া পাহাড়। কোনো খাঁজ না থাকায় সেদিক দিয়ে নামার কোনো সুযোগ নেই। তাই গুহার ভেতর দিয়ে আগানোর সময় কিছুক্ষণ পরপর আওয়াজ করছিলাম, যেন অপর পাশ থেকে কেউ ফিরতি পথে আসতে চাইলে বুঝতে পারে এদিক দিয়ে কেউ একজন আসছে। তবে আওয়াজ যেন গুহার ভেতরেই আটকে যাচ্ছিল। বাইরের আওয়াজও কানে আসছিল না। একেবারে পিনপতন নীরবতা যাকে বলে। গুহার শেষপ্রান্তে এসে মানুষের আওয়াজ পেলাম, পেলাম আলোর দেখাও। খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহার তুলনায় আলীর গুহা কিছুটা ছোট হলেও দুর্গম হওয়ায় সময় ও শ্রম বেশি লাগে।

ফিরতি পথে রওনা দেওয়ার আগে অপর পাশে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করতেই দেখি নেটওয়ার্ক নেই। না থাকারই কথা। সূর্যের আলোই যেখানে কালেভদ্রে প্রবেশের সুযোগ পায়, সেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক এসে পৌঁছাবে কীভাবে! সবাই সারিবদ্ধভাবে এক-এক করে ফিরতি পথ ধরলাম। এই গুহার পর পাহাড় ধরে আরও সামনে এগোলে আরও দুটি গুহা বা সুড়ঙ্গের দেখা মেলে। কিন্তু ওগুলোতে যাওয়ার সিঁড়ি না থাকায় সেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন। অতি রোমাঞ্চপ্রিয় হয়ে সেই পথে হাঁটার সাহস করলাম না। গুহা থেকে নেমে পাহাড় পেরিয়ে মূল সড়কের পাশেই বয়ে যাচ্ছে মাতামুহুরি নদী। কিছু দূরে নদীর সাথে মিলেছে তৈন খাল। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকলেও বহমান ছিল। সেখানেই গোসল করলাম। নদী ও খালের আশেপাশের উর্বর ভূমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। আলীকদম উপজেলা সদরেও মূল সড়কের পাশেই হচ্ছে ভূমির উর্বরতার জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ। যাইহোক, আলীকদম পৌঁছে দুপুরের খাবার ও নামাজ শেষে এবার মূল গন্তেব্যের দিকে যাত্রা— মারায়ন তং।
আলীকদম থেকে অটোরিকশায় চড়ে মারায়ন তংয়ের পাদদেশের কাছাকাছি পৌঁছে শুরু হলো হাঁটা। বেশ খাড়া পাহাড়। সোজা বেয়ে উপড়ে উঠতে হয়। আঁকাবাঁকা খাড়া রাস্তায় কিছুটা ঝুঁকি সত্ত্বেও কেউ কেউ মোটরসাইকেলে উঠে পাড়ি দিচ্ছেন। আমরা ট্রেকিংয়ের পথেই হাঁটলাম। প্রথমে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম, খাড়া পাহাড়ে উঠতে বেশ কষ্ট হবে। চাকরির সুবাদে এখন দিনের বেশিরভাগ সময় বসেই কাটে, পাশাপাশি বয়সও বাড়ছে। খাড়া পাহাড়ে ট্রেকিং তাই কষ্টকর বৈকি। প্রথম থেকেই তাই কিছু দূর পরপর থামছি। কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে হাঁটার সুফলও মিললো। খাড়া পাহাড় হওয়া সত্ত্বেও এই ট্রেকিংয়ে তেমন কষ্ট হলো না। শরীরের সাড়া দেখে বেশ অবাকই হলাম। এতটা কম ক্লান্তি অন্য কোনো পাহাড় ট্রেকিংয়ে হয়নি! যথারীতি দলের অন্যান্য সদস্যদের আগেই চূড়ায় উঠে গেলাম। বান্দরবানের যেসব বড় পাহাড় ট্রেকিং করেছি সে তুলনায় মারায়ন তংয়ের উচ্চতা কিছুটা কম—প্রায় ১৬৫০ ফুট। তবে পুরোটা পথই খাড়া হওয়ায় উঠা বেশ কষ্টকর।

ট্যুর প্যাকেজ অপারেটররা খাবার-দাবার নিয়ে উঠলেন। আমরা উঠলাম পানি নিয়ে। খাবার ও ব্যবহারের প্রয়োজনীয় পানি নিজেদেরই বয়ে নিয়ে যেতে হয়। পাহাড়ে পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। নিজের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের ব্যাগের পাশাপাশি পানি বয়ে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর। তাই ব্যাগ যত হালকা নেওয়া যায়, ততই সুবিধাজনক। বিশেষ করে যখন ঘণ্টা দেড়-দুয়েক হেঁটে উপরে উঠতে হয়। কষ্টকর ট্রেকিংয়ের পর পাহাড়ের চূড়ায় উঠে চারদিকের পরিবেশ দেখে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। বিশেষত, এই অঞ্চলে এই পাহাড়টিই সবচেয়ে উঁচু হওয়ায় চতুর্দিক খুব সুন্দরভাবে দেখা যায়। পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় রয়েছে একটি বৌদ্ধ মন্দির। মন্দিরে যাতায়াত ও পর্যটক-দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে পাহাড়ের চূড়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। মূল পাহাড়টির আশেপাশের রেঞ্জে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস থাকলেও পাহাড়ের উঁচু অংশে কোনো মানববসতি নেই।
বসন্তের বিকাল এমনিতেই বেশ আরামদায়ক। তবে তা যদি হয় পাহাড়ের চূড়ায় তখন শুধু আরামই নয়, ছড়িয়ে দেয় মুগ্ধতাও। মেঘ-অরণ্যে ঘেরা এই প্রাকৃতিক পরিবেশ এতটাই মনোমুগ্ধকর যে তা শুধু অনুভবই করা যায়, ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব। এর সাথে যোগ হয় সূর্যাস্তের সৌন্দর্য। লালিমা শুধু আকাশে নয়, ছড়িয়ে পড়ে পাহাড় থেকে পাহাড়ে, মেঘের ভেলায়, গহীন অরণ্যে!
বসন্তের শুরুতে মারায়ন তং গেলেও হালকা শীতের কাপড় নিতে হয়েছিল। পাহাড়ে রাতে কিছুটা শীত পড়ে তাই। গোল করে কয়েকটি তাঁবু খাটানো হয়েছে। প্রতিটি তাঁবুতে দুজন করে। মাঝের খালি জায়গায় বারবিকিউ-এর ব্যবস্থা করা হলো। হালকা শীতের মাঝে আগুনের কাছে গিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছিলাম। জমজমাট বারবিকিউ পার্টির পর চাঁদের আলোয় সারি সারি গাছের মাঝ দিয়ে আলো-আবছায়ায় হেঁটে বেড়ালাম। নিস্তব্ধ পাহাড়ের মাঝে হাঁটতে ভালোই লাগছিল। রাত বাড়ার সাথে সাথে শীতও বাড়ছিল। সমতল ভূমির এলাকা থেকে শীত বিদায় নিলেও পাহাড়ের উপর ভালোই ঠান্ডা পড়ছিল, ফুলহাতা হুডিও যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না। সারাদিনের ঝক্কির পর শরীর বেশ ক্লান্ত। তাই বেশি দূর না গিয়ে তাঁবুতে ফিরে এলাম।
ভোরে ফজরের নামাজ পড়েই ছুটলাম চূড়ায়। এই সময়ই মারায়ন তংয়ের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারণা হয়। চারদিকে মেঘের উড়াউড়ি। পাহাড়ের চূড়ার নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে মেঘ। আলীকদম সদরসহ আশেপাশের কোনো এলাকাই এসময় চোখে পড়ে না। সবই মেঘে ঢেকে যায়। এই সুন্দর দৃশ্য ও প্রকৃতির বিশালতা সত্যিই মনে রাখার মতো। মেঘের উড়াউড়ির মাঝেই উদিত হয় সূর্য। লালিমা ছড়িয়ে যায় মেঘের উপর। সময়ের সাথে সাথে ক্রমেই সরে যেতে থাকে মেঘ। দেখা মিলতে থাকে আলীকদম এলাকার।
ফেরার পথে খাড়া রাস্তায় নামার কষ্ট কমাতে মোটরসাইকেলে চড়লাম। ইটের রাস্তায় সোজা নামতে বেশ ভয় হচ্ছিল। পাহাড়ের গায়ে এই আঁকাবাঁকা পথে ব্যালেন্স রাখতে না পরলে মোটরসাইকেল চালানো তো দূরের কথা, উঠাই উচিত নয়। খানিক নিচে নামতেই পুরো পাহাড় মেঘে ঢাকা। সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মেঘে শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে। এই সময়টা মোটরসাইকেলের স্পিড কমিয়ে, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হলো।
প্রায় আধ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছালাম। দলের বাকি সদস্যরা হেঁটে নামছে। তাদের আরও ঘণ্টাখানেক লাগবে। এই সময়ে আমরা তিন-চারজন গেলাম শিলবুনিয়া ঝরনার খোঁজে। রাস্তা চিনি না, জিজ্ঞেস করার মতো কাউকে পাচ্ছি না। এসময় পথ দেখাতে হাজির হলো একটি কুকুর। কুকুরের পেছন পেছন হেঁটে ঝিরি ও পাহাড়ি পথ ঘুরে পৌঁছলাম ঝরনায়। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় পাহাড়ের গা বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে পানি। সেখান থেকে মোটরযোগে পাইপ দিয়ে পানি নেয় স্থানীয়রা। ঝরনার কাছে বাঁধ দেখে বুঝলাম বর্ষায় বেশ ভালোই পানি থাকে। এই ঝরনা থেকেই তৈরি হয়েছে খাদ ও ঝিরি। আশেপাশের মানুষজনের পানির উৎস এই ঝরনা ও ঝিরি।

আলীকদম ফিরে রিজার্ভ বাসে চড়ে চকরিয়া হয়ে কক্সবাজার গেলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে লোকাল ট্রলারে চেপে সমুদ্র ও বাঁকখালী নদী পেরিয়ে ছুটলাম মহেশখালী দ্বীপের উদ্দেশে। সাদা বক ও গাংচিলের উড়াউড়ি, দূরে বিভিন্ন চর ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের মাঝ দিয়ে ছুটে চলা সত্যিই রোমাঞ্চকর। মহেশখালী ঘাটে পৌঁছে কেওড়া বন পেরিয়ে সব স্পট ঘুরার জন্য অটোরিকশা নিলাম। প্রথমেই গেলাম আদিনাথ মন্দির। সেখানকার পাহাড়ের উপর থেকে এক নজরে মহেশখালী দ্বীপকে দেখা যায়। একদিকে সমতল ভূমি, ম্যানগ্রোভ বন, আরেকদিকে ছোট ছোট পাহাড়, অপরপাশে সমুদ্র।
ভাইরাল আগুন পান খাওয়া ছাড়াও স্থানীয় বাজার, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চালিত মার্কেট, লবণ চাষ, শুঁটকিপল্লী সবই ঘুরে দেখলাম। শুঁটকি থেকে শুরু করে নানা ধরনের পোশাকও কেনা হলো। সন্ধ্যার আগে ফিরতি ট্রলারে চেপে রওনা হলাম কক্সবাজার সৈকতের উদ্দেশে। কক্সবাজার এসে এখানকার সমুদ্রসৈকতে সময় না কাটালে হয়! সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে সমুদ্রের পানিতে গা ভিজিয়ে ভ্রমণ তালিকার স্পটগুলো পূরণ করে উঠলাম ঢাকায় ফেরার বাসে। সিটে বসতেই দুইদিনের একটানা ছুটে চলার পর বিশ্রাম পেল শরীর। বিশ্রামের প্রথম প্রহরেই শরীরকে সতেজ করতে চলে এলো ঘুম। শুধুই কি শরীর, স্মৃতিকেও টাটকা রাখতে টনিক হয়ে আসে এই ঘুম, দূরে সরিয়ে রাখে বিদায়-বিরহ!