প্রথমবারের মতো ফেসবুক হেডকোয়ার্টারের ভিডিও প্রকাশ

বরাবরই তাঁকে দেখা যায় ছাইরঙা এক টি-শার্টে। হাসিমুখ, সহজাত এই তরুণকে কেবল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এক বিত্তশালী বললেই চলে না-নিঃসন্দেহে তিনি ইতিহাসে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ঠিক ধরেছেন, ফেসবুকের উদ্যোক্তা মার্ক জাকারবার্গের কথাই বলা হচ্ছে। নিজের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে এবার প্রথমবারের মতো ফেসবুকের হেডকোয়ার্টার বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থিত করলেন একটি ভিডিওর মাধ্যমে।
প্রায় সাড়ে তিন মিনিটের এই ভিডিওতে জাকারবার্গ প্রথমেই সবাইকে ‘হাই’ জানান। জাকারবার্গের ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখা যায়, বিশাল একটি অফিস প্রাঙ্গণ। কোনোরকমের চমক না দিয়েই জাকারবার্গ সরাসরি জানিয়ে দিলেন, এটাই তাঁদের হেডকোয়ার্টার-আর এই প্রথম ফেসবুকের হেডকোয়ার্টারের কোনো ভিডিও উন্মুক্ত করা হলো সর্বসাধারণের জন্য।
জাকারবার্গ জানান, এই আস্তানা তাদের পুরোনো নয়, একেবারে নতুন। মাসখানেক হলো তল্পিতল্পা নিয়ে এখানে তাঁরা গড়ে তুলেছেন নিজেদের মতো কর্মক্ষেত্র। এর পরিসর দেখলে আপনি চমকে যাবেন।
বিশাল এই আঙিনায় আলাদা করে কোনো রুম বা আলাদা কোনো ক্ষেত্রগত বিভাজন নেই। সব ডেস্ক প্রায় একসাথে লাগানো, যে যার সামনাসামনি-পাশাপাশি কাজ করছেন নিজের মতো করে। এরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাকারবার্গ নিজেই। তিনি বলেন, উন্মুক্ত একটি জায়গায় সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কাজের স্পৃহা বাড়ে, সম্পর্কের ক্ষেত্র বিস্তৃত এবং সহযোগিতামূলক হয়, সেই সঙ্গে যোগাযোগ কার্যকর হয়। এতে করে ফেসবুক কমিউনিটির অজস্র ব্যবহারকারীর সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা সম্ভব বলে মনে করেন জাকারবার্গ ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোরা।
মজার বিষয়, জাকারবার্গের নিজেরও কোনো আলাদা রুম নেই এখানে। আর সবার মতো তাঁর ডেস্কটিও। সেখানে কিছু বইপত্র দেখান জাকারবার্গ, যেগুলো বিভিন্ন সময় তিনি পড়েন এবং তাঁর কাজে লাগে। কম্পিউটারের সামনে রেখে দিয়েছেন ‘ফেসবুক’ লোগো খোদাই করা একটি কাঠখণ্ড।
অফিসে অবশ্য একটি বিশালাকৃতির কনফারেন্স রুম আছে। জাকারবার্গই কেবল নন, যেকোনো মিটিং বা আলাপ-আলোচনা কিংবা অতিথিদের এখানে বসানো হয়। অবশ্য এই কনফারেন্স রুমটিও উন্মুক্ত, যে কেউ চাইলেই যখন ইচ্ছে ভেতরে গিয়ে বসতে পারেন।
এই মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে জাকারবার্গ ব্যাখ্যা দেন এভাবে যে এতে সবাই সমানভাবে কাজ করার সুযোগ পায় এবং নিজেদের কাছে নিজেরা স্বচ্ছ, পরিষ্কার থাকে।
চার লাখ ৩০ হাজার বর্গফুটের বিশাল এলাকাজুড়ে ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যানিলায় গেঁড়ে বসেছে ফেসবুকের এই নতুন হেডকোয়ার্টার।