বিসিবি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন যারা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন তামিম ইকবাল। সেই অভিযোগের ধারা গিয়ে ঠেকল নির্বাচন প্রত্যাহারে। বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে তামিমসহ মোট ১৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
যাচাই-বাছাই শেষে মোট ৫০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছিল। সেখান থেকে ১৭ জন প্রত্যাহার করায়, এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। ফলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে মোট ৬ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। যার সবগুলোই ক্যাটাগরি-১ (বিভাগীয়-জেলা ক্রীড়া সংস্থা) থেকে।
খুলনা বিভাগে দুই পরিচালক পদের বিপরীতে শেষ পর্যন্ত দুটি মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। ফলে এই বিভাগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক পদে নির্বাচিত হচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক (খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা) ও জুলফিকার আলী খান (খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা)।
চট্টগ্রাম বিভাগেও দুই পরিচালকের বিপরীতে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে দুইটি। ফলে এই বিভাগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সংগীত শিল্পী আসিফ আকবর (কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা) ও আহসান ইকবাল চৌধুরী (চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা)।
অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে একটি পদের বিপরীতে একটি মনোনয়নই জমা পড়েছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন রাহাত শামস (সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা)। বরিশাল বিভাগেও একটি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এখান থেকে নির্চাতি হচ্ছেন শাখাওয়াত হোসেন (ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা)।
বাকি দুই ক্যাটাগারি থেকে আর কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন না। ক্যাটাগরি-২ এ ১২ পরিচালকের বিপরীতে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে ১৬টি। আর ক্যাটাগরি-৩ এ এক পদের বিপরীতে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে দুইটি।
এর আগে নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৬০ জন প্রার্থী মনোনয়ন তুলেছিলেন। এর মধ্যে জমা দিয়েছিলেন ৫১ জন। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে তিন জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে আবার মনোনয়ন ফেরত পান দুই জন। ফলে সব মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০ জন। এরপর বুধবার (১ অক্টোবর) ১৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।