বাবর-রিজওয়ান প্রশ্নে সোজা উত্তর নির্বাচকদের

গত কয়েক সিরিজ ধরেই জাতীয় দলের বাহিরে ছিলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হচ্ছিল না এই দুই তারকার। কিন্তু এশিয়া কাপের আগে বাবরের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল ফখর জামানের চোট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ভালো করলে সুযোগ ছিল এশিয়া কাপের দলে থাকার। কিন্তু সেটাকে যেন পায়ে ঠেলে সরিয়েছেন বাবর। ব্যর্থ ছিলেন ক্যারিয়ানদের বিপক্ষে। রিজওয়ানও পারেননি দলের চাহিদা পূরণ করতে। ফলাফল হিসেবে এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন দুজনই।
আজ রোববার (১৭ আগস্ট) স্কোয়াড ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা চলছিল তাদের বাদ পড়া নিয়ে। এবার বাবর-রিজওয়ানকে বাদ দেওয়া নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক আকিব জাভেদ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, পারফর্ম না করলে জাতীয় দলে কোনো সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আকিব জাভেদ বলেন, ‘বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান গত তিন (চার) সিরিজে দলের অংশ ছিল না। যেখানে সাইম, ফখর ও সাহিবজাদা ফারহান টপ অর্ডারে খেলেছে। এমন না যে, কাউকে দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে উপেক্ষা করা হচ্ছে কিংবা নেওয়া হচ্ছে। এসব প্রায়ই গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়, তবে ক্রিকেটার হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যারা খেলতে চায়, সবার জন্যই সুযোগ থাকে।’
পাকিস্তানের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান বাবরের। ১২৮ ম্যাচে ১২৯.২২ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৪ হাজার ২২৩ রান। নামের পাশে আছে তিনটি সেঞ্চুরিও। ১০৬ ম্যাচ খেলা রিজওয়ানের রান ৩ হাজার ৪১৪, স্ট্রাইকরেট ১২৫.৩৭। দলের সর্বোচ্চ দুই রান সংগ্রাহক হলেও বাবর-রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের ধরন ও স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা পুরোনো। এর সঙ্গে দুজনের অধারাবাহিক পারফরম্যান্স দাবি তুলেছিল জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার।
বাবর-রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের সেই ধরন সামনে আনলেন প্রধান নির্বাচক আকিব জাভেদও। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ; রান করার সামর্থ্য এবং ম্যাচের পরিস্থিতি ও আবহ অনুযায়ী স্ট্রাইক রেট। আমরা সবসময় এটাই বিবেচনা করি।’
তবে জাতীয় দলের দরজা খোলা আছে বাবর-রিজওয়ানের জন্য। ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পারফর্ম করে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে জাতীয় দলের জন্য। আকিব বলেন, ‘এমন না যে আমরা তাদেরকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিয়েছি… কোনো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারেরই শেষ বলে দেওয়া যায় না, সুযোগ সবসময় থাকে। এই মুহূর্তে তারা (ক্রিকেটাররা) বিগ ব্যাশ ও পিএসএলের মতো লিগে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। যে পারফর্ম করবে সেই খেলবে, এবং যারা ভালো করবে কেবল তারাই খেলার যোগ্য।’