নেপালকে হারিয়ে জয়ে ফিরল বাংলাদেশ

ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ালেন ওপেনার জিসান আলম। শেষদিকে ক্যামিও ইনিংসে খেললেন আফিফ হোসেন। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দুইশ ছুঁইঁছুঁই রানের পুঁজি দাঁড় করে বাংলাদেশ। এরপর রকিবুল ইসলাম-হাসান মাহমুদদের বোলিং তোপে সুবিধা করতে পারেনি নেপাল। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলতে পারে নেপাল। এতে ৩২ রানের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেপালের। শুরু থেকেই বাংলাদেশী বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নেপালের ব্যাটাররা। মাত্র ১৩ রানেই ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হাসান মাহমুদের বলে শর্ট কাভারে জিসান আলমের হাতে ক্যাচ দেন কুশাল ভুরটাল।
এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় নেপালিয়ানরা। সবাই ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে, দলের দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউ। ওপেনার আসিফ শেখ উইকেটে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন। মাথা ব্যাথার কারণ হওয়ার আগেই তাকে ফেরান তোফায়েল আহমেদ। ফেরার আগে ২৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
পাঁচে নেমে লড়াইটা একাই করেছেন কুশাল মাল্লা। তবে তার সেই হার না মানা লড়াই কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নন্দন যাদব।
বাংলাদেশের হয়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছে রকিবুল ইসলাম। হাসান মাহমুদের শিকার ২টি। একটি করে উইকেট গেছে রিপন মন্ডল ও তোফায়েল আহমেদের ঝুলিতে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ওপেনার জিসান আলম। তার সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম শেখ কিছুটা দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন। দুজন মিলে পাওয়ার-প্লেতেই তুলে ফেলেন ৬০ রান। পাওয়ার-প্লের পরের ওভারেই বিদায় নেন নাঈম। ফেরার আগে ১৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
নাঈম ফিরলেও নেপালের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে যান জিসান। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ছুঁটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে তার আগেই থামতে হয়েছে তরুণ এই হার্ডহিটার ব্যাটারকে। ৪৫ বলে ৭২ রান করে বিদায় নেন তিনি।
বাকিদের মন্থর ব্যাটিংয়ের বিপরীতে চারে নেমে ব্যাট চালিয়ে খেলেন আফিফ হোসেন। আগের ম্যাচে ব্যর্থ আফিফ ২৩ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এতে দুইশ’র কাছাকাছি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।