জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে রীতিমতো উড়ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সমানতালে পারফর্ম করছেন ব্যাটার-বোলাররা। এতে কোনো দলই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশের সামনে।
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ১৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে যুব টাইগাররা। ব্যাট কিংবা বল কোনো বিভাগগেই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দুই বিভাগেই আলো ছড়ানো পারফরম্যান্স করেছে যুব টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩৫ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। সেই যে শুরু এরপর আর কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
টপঅর্ডারে ব্যর্থতার পরে মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন বেনি জুজি। যুব টাইগারদের সামলে হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। ৮৮ বলে ৪৭ রান করা জুজিকে ফিরিয়ে গলার কাঁটা দূর করেন রিজান হাসান। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের এটাই সবোর্চ্চ রানের ইনিংস।
১৬ রান করা মার্শাল মাসাভাকে ফেরান অধিনায়ক আজিজুল তামিম নিজেই। ৭ নম্বরে নেমে বেশিকিছু সময় বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মিচেল ব্লিংনাউটও। তাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের সকল আশা ভেঙ্গে দেন রাফিউজ্জামান রাফি।
এদিন ইকবাল হোসেন ইমন আর আল ফাহাদকে বিশ্রাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই অনুপস্থিতি টের পেতে দেননি শাহরিয়ার আল-আমিন, আজিজুল তামিম, রাফিরা। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনে। এতে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই ওভারে ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রিজান। সমান ৩টি উইকেট গেছে আজিজুল তামিমের ঝুলিতেও। দুইটি উইকেট পেয়েছেন শাহরিয়ার আল-আমিন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৫ রান করে জাওয়াদ আবরার বিদায় নিলে ভাঙে ৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। সেটাকে অবশ্য বড় হতে দেননি আরেক ওপেনার রিফাত বেগ আর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে পথ দেখান এই দুজন।
৭৮ বলে ৭৭ রান করে রিফাত বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর অবশ্য বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি আজিজুল তামিমও। ৬৫ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন তামিম।
মিডল অর্ডারে রানের চাকা সচল রাখেন রিজান হাসান, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ফরিদ হাসানরা। চার নম্বরে নেমে ২৯ বলে ৩০ রান করেন রিজান। হাফসেঞ্চুরির দিকে ছুটেও মাঝখানে থামতে হয় আবদুল্লাহকে। ৪৫ বলে ৩৭ রান করে বিদায় নেন তিনি।
তবে ইনিংস শেষ করে অপরাজিত থেকেই ফেরেন ফরিদ। ৪৪ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর শেষদিকে নেমে ব্যাটহাতে ঝড় তুলেন দেবাশীষ দেবা। এক ছক্কা আর ৪ চারে মাত্র ১৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এতে ৩০০ ছুঁইছুঁই পুঁজি পায় বাংলাদেশ।