রুদ্ধশ্বাস ওভাল টেস্টে ভারত-ইংল্যান্ডের যত রেকর্ড

ওভালে ভারত-ইংল্যান্ডের শেষ টেস্টকে মহাকাব্যিক বললে বাড়িয়ে হয়তো বলা হবে না। জয়ের জন্য দুদলের মরিয়া চেষ্টায় ফুটে উঠেছে ক্রিকেটীয় সৌন্দর্য। শেষ পর্যন্ত জিতেছে ভারত। ৬ রানের জয় ভারতের টেস্ট ইতিহাসে রানের ব্যবধানে পাওয়া সবচেয়ে ছোট জয়। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির পঞ্চম টেস্টে হয়েছে অসংখ্য রেকর্ড। যার উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য।
ভারতের ৬ রানের জয় :
ভারতের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট ব্যবধানে জয়। এর আগে সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয় ছিল ১৩ রানে, ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুম্বাইয়ে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে কম ব্যবধানে হারের দিক থেকে এটি তৃতীয়।
৩৩২/৫ :
৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৩২ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর যেখানে প্রথম পাঁচ উইকেটেই এত রান তুলেও দল হেরে গেছে। এর আগে ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৬৩ রান তাড়া করতে গিয়ে মেলবর্নে ৩৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও হারে ইংল্যান্ড।
দুইজন ভারতীয় বোলার দুই ইনিংসে চার উইকেট করে নিয়েছেন :
মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণা দুজনই ম্যাচে দুই ইনিংসে চার উইকেট করে নিয়েছেন। ভারতের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রথমবার ঘটেছিল ১৯৬৯ সালে দিল্লিতে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যেখানে বিশেন সিং বেদি ও ইরাপল্লি প্রসন্ন এই কীর্তি গড়েছিলেন।
টেস্ট ইতিহাসে ১৫ বারের মতো কোনো দলের দুই বোলার দুই ইনিংসেই চার বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন। সর্বশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের মন্টি পানেসার ও গ্রায়েম সোয়ান, ২০১২-১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে।
২৩ উইকেট :
সিরিজে মোহাম্মদ সিরাজের উইকেট সংখ্যা ২৩। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের পক্ষে একটি সিরিজে এটি যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট। এর আগে জাসপ্রীত বুমরাহ ২০২১-২২ সালে নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট।
১৯৫ রানের জুটি :
জো রুট ও হ্যারি ব্রুকের মধ্যে গড়া এই জুটি চতুর্থ ইনিংসে পরাজিত দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। সর্বোচ্চ হলো ২০৪ রানের জুটি, ২০১৮ সালে একই ভেন্যুতে লোকেশ রাহুল-ঋষভ পন্তের জুটি। রুট ও ব্রুক হলেন সপ্তম জুটি, যারা চতুর্থ ইনিংসে শতক করেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
চার সিরিজে জয়হীন :
টানা চারটি টেস্ট সিরিজে ভারতের বিপক্ষে জয়হীন ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড।
পাঁচ ম্যাচের অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজ ২-২ এ সমতায় শেষ হয়েছে। একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।