নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যে লক্ষ্যের কথা বললেন কোচ-অধিনায়ক

আগামী ৬ আগস্ট থেকে লাওসে বসছে অনুর্ধ্ব- ২০ এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। বাছাইয়ে অংশ নিতে আগামী ২ আগস্ট লাওসের বিমান ধরবে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেখানে টুর্নামেন্টে নিজেদের লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও কোচ পিটার বাটলার।
ক’দিন আগেই ঘরের মাটিতে সাফের শিরোপা জিতেছে অনুর্ধ্ব- ২০ নারী ফুটবল। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে নামার কথা জানালেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার।
আফঈদা বলেন, ‘আমাদের টিমের বন্ডিং এখন অনেক ভালো। কারণ সাফে আমাদের ২৩ জন প্লেয়ারের সবাই খেলার সুযোগ পেয়েছে। তো সবার মধ্যেই একটা আত্মবিশ্বাস আছে যে, এএফসিতে গিয়ে আমরা ভালো কিছু করব।’
সাফের শেষে অনুশীলনের খুব বেশি সময় পায়নি বাংলাদেশ। পরপর ম্যাচ থাকায় বাছাইপর্বেও অনুশীলনের সুযোগ কম। এর মধ্যেও যতটুকু সম্ভব নিজেদের সেরাট চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। আফঈদা বলেন, ‘যেহেতু আমাদের খেলাগুলো পরপরই, তো খুব বেশি সময় পাচ্ছি না অনুশীলন করার। তো কোচ আমাদের যেভাবে বলছে এবং যতটুকু সময় পাচ্ছি, সেভাবে করার চেষ্টা করছি।’
বাছাইয়ে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্স-আপ আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলবে। থাইল্যান্ড যদি বাছাইপর্ব থেকে কোয়ালিফাই না করতে পারে, তাহলে তারা সরাসির মূলপর্বে খেলবে এবং বাছাইপর্ব থকে তিন রানার্স দল সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস, দক্ষিণ কোরিয়া ও তিমুর লেস্তে। ফিফা র্যাংকিংয়ে প্রথম দুই দলই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া। তাই চ্যাম্পিয়ন নয়, সেরা তিন রানার্স আপে নজর বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের।
বাটলার বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া এই অঞ্চলের (মহাদেশের) সেরা দল। নিঃসন্দেহে তারা অনেক এগিয়ে ও অনেক ভালো দল। আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের সঙ্গে। সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঐ ম্যাচ জিতে আমরা এগিয়ে থাকতে চাই।’
প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে আমরা কখনোই দুর্বলভাবে দেখি না। আমার ওখানে যাব আমাদের সেরাটা নিয়ে খেলার জন্য। আমাদের মেয়েরা রেডি আছে খেলার জন্য।’