সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে বাংলাদেশ?

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজ জয়ের কোনও বিকল্প নেই টাইগারদের। টানা ছয় ম্যাচ হারার পর এই ম্যাচে জয় দিয়ে ব্যর্থতা কাটাতে পারবে কি বাংলাদেশ?
আজ রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ডাম্বুলায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামছে লিটন-তাসকিনরা। এই ম্যাচ হেরে গেলে শেষ ম্যাচ হবে টাইগারদের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
ডাম্বুলার উইকেট স্পিন সহায়ক। এই ম্যাচে তাই মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনরা ম্যাচের গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তবে লঙ্কান ফিল্ডিং কোচ উপল চন্দনা বলেছেন পাল্লেকেলের মতো ডাম্বুলার মাঠও ব্যাটিং সহায়ক হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলদেশের ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলা ও বড় সংগ্রহের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলি অনিকের খেলা হয়নি উরুর মাংসপেশিতে টান পড়ায়। ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পরফরম্যান্স করা এই ব্যটারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফেরা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
ডাম্বুলায় এর আগে কোনও টি–টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশে। তবে এই মাঠে পাঁচটি ওয়ানডে খেলে তিনটিতে হেরেছে টাইগাররা। সর্বশেষ ম্যাচে ২০১৭ সালের মার্চে মাশরাফি বিন মুর্তজার অধীনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯০ রানে বড় জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে তামিম ইকবাল ১২৪, সাকিব আল হাসান ৭২ ও সাব্বির রহমানের ৫৪ রানে ভর করে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৩২৪ রান করে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫.১ ওভারে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ২৩৪ রানে। বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, মেহেদী হাসান মিরাজ ২ উইকেট ও তাসকিন আহমেদ পান ১ উইকেট। সেই ম্যাচের ব্যটাররা কেউ না থাকলেও মিরাজ-তাসকিন-মুস্তাফিজ আজও দলে আছেন। তারা চাইবেন অতীত অভিজ্ঞতাটা কিছু হলেও কাজে দিক।
সিরিজ জুড়ে লঙ্কান দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস বাংলাদেশের বোলারদের বেশ ভুগিয়েছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। এই দুই ওপেনারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ বলে ৭৮ রান তুলে ফেলে লঙ্কানরা। এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের বড় দায়িত্ব হবে কৌশলী হয়ে এই দুইজনকে রুখে দেয়া।
অধিনায়ক লিটন রয়েছেন অফ ফর্মে। ওয়ানডের ফর্মহীনতার প্রভাবটা টি-টোয়েন্টিতেও তাকে ঘিরে ধরছে। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স লিটনকে নিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি তার আত্মবিশ্বাস এখন একটু কম আছে। আমরা জানি সে কী করতে পারে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি যাতে সে আবার সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। আশা করছি পরের ম্যাচে সে তার আসল দক্ষতা সবাইকে দেখাতে পারবে।’