ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজন নিয়ে শঙ্কা, বাড়ছে ভেন্যু

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজনের স্বাভাবিক সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। সরকারের তরফ থেকে প্রশাসনকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। যেকারণে শঙ্কায় পড়েছে এই সময়ে বিপিএল আয়োজন। ফলে পিছিয়ে যেতে পারে বিপিএলের ১২তম আসরের সূচী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি পরিচালকরা। যেখানে আগামী বিপিএলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে এবারের আসরে নতুন করে একটি মাঠও যুক্ত হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিপিএল গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। এসময় বিপিএল আয়োজনের সূচী নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে। যত ডিসেম্বরের কাছাকাছি আসবো বিপিএল শুরুর ডেট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবো। যদি ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে করতে না পারি আর একটা সময় থাকতে পারে সেই স্লটে (বিপিএল) হতে পারে। মে মাসেও আমরা খালি আছি।
তবে মে মাসে বিপিএল আয়োজন করলে সেটা আইপিএলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। কারণ একই সময়ে আইপিএল অনুষ্ঠিত হয়। সেটা নিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘ডিসেম্বরে করলেও (বিপিএল আয়োজন) কয়েকটি লিগের সাথে সাংঘর্ষিক হয়। মে মাসে করলে আইপিএলের সাথে এটা আমরা জানি। তবে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাব।’
গত কয়েক আসরেই বিপিএল অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা, চিটাগং এবং সিলেটে। তবে এবার এর সঙ্গে যোগ হতে পারে আরেকটি ভেন্যু। কোনটি সেটি এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। তবে বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম জানালেন কয়েকটি মাঠের কথা। বিপিএল শুরুর আগে যে মাঠ এগিয়ে থাকবে সেখানেই হবে ম্যাচ।
মাহবুব আনাম বলেন, 'আমাদের চেষ্টা থাকবে বিপিএলে অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানোর। বগুড়া ও খুলনায় বিপিএলের ভেন্যুর অডিট করার জন্য পাঠিয়েছি গ্রাউন্ডস এবং ফ্যাসিলিটিজ থেকে। বরিশালের উইকেট প্রস্তুত আউটফিল্ডেরও কিছু কাজ চলছে। তাহলে বরিশালও ভেন্যু হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। রাজশাহীর ব্যাপারে এনএসসি কাজ করছে, আমরাও তাদের সাথে যোগ হয়েছি। এই চারটা ভেন্যুর মধ্যে যেটা সেরা হবে সেটাকে আগামী বিপিএলে যোগ করব।’