বিপিএলের ড্রাফট, ভেন্যু-দল বাড়ানো নিয়ে যা জানাল বিসিবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগমণী বার্তা এসেছে দেশের ক্রিকেট পাড়ায়। আলোচনার টেবিলেও এখন দেশের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। ক্রিকেট বোর্ডও প্রস্তুতি সাড়ছে আগামী আসরকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে। সেসব নিয়ে কথা বলেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। আজ বুধবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিপিএলের আগামী আসরের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছে বিপিএল আয়োজনে একটি স্পোর্টস ম্যানজেমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে চায় বিসিবি। কবে নাগাদ সেই চুক্তি হতে পারে সে বিষয় আজ স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন মাহবুব আনাম।
মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পরিচালনা নিয়ে স্টাডি করছি। আমরা বোর্ড থেকে কিছু গাইডলাইন পেয়েছি। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের জন্য একটা টেন্ডার প্রসেসের মধ্যে যাব।’
বিপিএলের গত আসর দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে বিসিবির। এখন আবার নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়া হবে। কবে নাগাদ সেটি শুরু হবে জানিয়েছেন তিনি। মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমরা আগষ্টের মধ্যে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটা শুরু করব। এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিযুক্ত করার একটা টাইমলাইন রেখেছি।’
গতকাল বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছিলেন ডিসেম্বরে শুরু হবে বিপিএল। এর আগেই দলগুলোকে প্রস্তুতি নিতে হয় সব বিষয়ে। যেখানে প্লেয়ার্স ড্রাফট থাকে অন্যতম। কবে সেই প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আনাম বলেন, ‘ড্রাফট আরেকটু পরে হবে। আমরা একটা টাইমলাইন করেছি সেই টাইমলাইন অনুসারে… ড্রাফট আমি মনে করি অক্টোবরের আগে হবে না।’
বিপিএলের আগামী আসরে দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে নতুন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে দল বাড়ানো নিয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি। তবে, জানিয়েছেন, আগে যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে সমস্যা তৈরি করেনি এমন যে কেউই দল নিতে আবেদন করতে পারবে।
ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন আছে কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিপিএলে দল নিতে চায়। এটা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিপিএল আয়োজক কমিটি। তবে, একবারে ‘না’ করেও দেয়নি।
এ প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম বলেন, ‘স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে আমরা এবং বোর্ড বসবো যে, কিসের ভিত্তিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া যায়। তো সেই ভিত্তিতে যদি বিদেশি মালিকানাধীন কাউকে দিতে হয়… সেই প্রক্রিয়াগুলো আমরা আগস্টে যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়োগ দিব তখন আপনাদের জানাতে পারবো।’
গত কয়েক আসর ঢাকা, চট্টগ্রাম আর সিলেট, এই তিন ভেন্যুতে বিপিএল আয়োজন হয়ে আসছে। এবার ভেন্যু সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে মাহবুব আনাম বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের ভেতরে আমরা বিপিএলের তরফ থেকে মাঠগুলো অডিট করব। এরপর যদি ম্যাচ আয়োজনের রিকয়্যারমেন্ট পূরণ করে কিংবা আগামী চার মাসে আমরা সেগুলো ঠিক করতে পারি তাহলে আমরা ভেন্যু বাড়াতে পারি।’
বিপিএল আয়োজনের ভাবনায় পূর্বে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে এমন স্টেডিয়ামগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বিপিএল আয়োজক কমিটি। ফলে আপাতত তিনটি মাঠকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় নিয়েছেন তারা। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম এবং বরিশালের আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম।
আলোচনার শীর্ষে থাকা রাজশাহী স্টেডিয়ামের দায়িত্বে আছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। জানা গেছে, এই সময়ে তারা যদি রিকয়্যারমেন্ট পূরণ করতে পারে তাহলে রাজশাহীকেও বিপিএল আয়োজনের তালিকায় রাখা হবে।