লজ্জার রেকর্ডে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে যারা

প্রেমাদাসায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে লজ্জার রেকর্ড গড়ে হেরেছে বাংলাদেশ। ভয়াবহ এক ব্যাটিং বিপর্যয়ে সহজ ম্যাচটা হাতছাড়া করেছেন মিরাজ-লিটনরা। অথচ ভালো বোলিং করার পর ওপেনাররা ব্যাটিংয়ের সূচনাটাও করেছিলেন দারুণভাবে। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং তার পুরানো চেহারায় ফিরে এসেছিল।
১৬.২ ওভারে ১০০ রানে ১ উইকেটে থেকে ২০.৫ ওভারে ১০৫ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ৫ রানে ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়েছে। ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬৭ রানে অলআউট হলে ৭৭ রানে হেরে যায় তারা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানে ৭ উইকেট হারানোতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, লজ্জার রেকর্ডে তাদের থেকে এগিয়ে শুধু জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ে তারা।
২০০৮ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৪ রানে তিন উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ১২৭ রানে। মাত্র ৩ রানেই তাদের শেষ ৭ উইকেট তুলে নেয় লঙ্কানরা।
অবশ্য এই রেকর্ডে তৃতীয়স্থানে শ্রীলঙ্কার নামও আছে। ১৯৮৬ সালে শারজায় তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারায়। সেই ম্যাচে ৪৫ রানে ২ উইকেট থেকে ৫১ রানে ৯ উইকেট হারায় তারা।
ব্যাটিং বিপর্যয়টা বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। এরে আগেও এ রকম ভয়াবহ ধস নামতে দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কার আগে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের এই শোচনীয় অবস্থা দেখা গিয়েছিল।
২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৫০ থেকে ৫৮ রান অলআউট হয় বাংলাদেশ। মাত্র ৮ রানেই শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ডিএল মেথডে সেই ম্যাচ ৪৭ রানে হারে তারা।
২০২৪ সালের নভেম্বরে শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩২ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে ৯২ রানে ম্যাচটি হেরে যায়।