ট্রায়ালে আসা প্রবাসীদের নিয়ে চমকের আভাস বাফুফের

দেশের ফুটবলে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হয়েছে। সেই দিগন্তের পরিধিকে আরও বাড়াতে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে ট্রায়ালের আয়োজন করেছিল বাফুফে। ‘নেক্সট গ্লোবাল স্টার’ নামের এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন ইউরোপ-আমেরিকার ৪৯ জন ফুটবলার। সোমবার শেষ হয়েছে তিন দিনের ট্রায়াল।
বাফুফের এই ট্রায়ালের তত্ত্বাবধায়ন করেছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য ভিন্ন কোনো কথা উঠে আসেনি।
ট্রায়াল শুরুর আগে বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম যে কথা বলেছিলেন, টিটুও ঘুরে-ফিরে সেটিই বললেন। টিটু বলেন, ‘এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। যাদের বয়স মাত্র ১৮-১৯, তাদের উন্নতির অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখব। সামনে আমাদের বয়স ভিত্তিক ক্যাম্পে কোচরা এই ট্রায়ালের তথ্য বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় খেলোয়াড়দের দেখবেন।’
সেই সম্ভাবনার দুয়ারও বেশ প্রসারিত। কারণ, সামনে বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে ভিয়েতনামে। একই সময় জাতীয় দলের ফিফা উইন্ডো রয়েছে। শুরুতে জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের বয়স ২৩ বছরের কম থাকায় তাদের চিন্তা করা হচ্ছিল। এবার বাফুফের সামনে সুযোগ আছে তাদের সিনিয়র জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করে ট্রায়ালে ফুটবলারদের অনুর্ধ্ব-২৩ দলে সুযোগ দেওয়ার।
তবে লম্বা সময়ের জন্য তাদের জাতীয় দলের ক্যাম্পে পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, ট্রায়ালে আসা অনেক ফুটবলার ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন। বাংলাদেশের ক্লাবগুলোই বয়সভিত্তিক দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে চায় না। সেখানে উন্নত বিশ্বের দেশের ক্লাবগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য খেলোয়াড় ছাড়ে কি না সেটিও দেখার বিষয়।
বাফুফের এই ট্রায়াল নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাফুফের এই উদ্যোগ নিয়ে নানা মতামত ব্যক্ত করেছেন সমর্থকরা। তবে এটিকে চাপ হিসেবে নেননি নির্বাচক কমিটি।
টিটু যোগ করেন, ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক। তাদের মতামত ব্যক্ত করার অধিকার অবশ্যই রয়েছে। এটা দারুণ, মিডিয়ার পাশাপাশি তারাও জবাবদিহিতা রাখছে। এতে চাপের কিছু নেই।’